জামায়েতের আমির ডা: শফিকুর রহমান

জামায়েতের আমির ডা: শফিকুর রহমান….জামায়েতের আমির ডা: শফিকুর রহমান….. আরও বিস্তারিত পড়তে থাকুন……

বক্তব্য দেওয়ার সময়  অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান জামায়াতের আমের ডঃ শফিকুর রহমান পড়ে যাওয়ার পর আশপাশে থাকা নেতাকর্মীরা  দ্রুত এসে তাকে উঠিয়ে দিলে তিনি  আবার বক্তব্য শুরু করেন। তখন তিনি দ্বিতীয়বার অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান।

১৯ জুলাই ২০২৫ এ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে এই ঘটনা ঘটে। দেশ-বিদেশে অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহধর্মীরা তার খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাকে দেখতে হাসপাতালে অনেকে ছুটে চলে আসছে।

ডক্টর শফিকুর রহমানের জীবনী ও বেড়ে ওঠার গল্প সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:

জামায়েতের ইসলামের আমির হিসাবে ডা: শফিকুর রহমান সবার মন জয় করেছেন। আওয়ামীলীগ শাসনামলে তাঁর উপর বহু ঝড়- বয়ে গেছে। তাকে আটক করা হয়েছে এবং তার দলকে করা হয়েছে নিষিদ্ধ। 

এসবের কোন কিছুতেই তিনি দমে যাননি বা হাল ছেড়ে দেননি। অবাক করা ব্যাপার হলো, জামায়েতের ইসলামের জন্য তিনি এত আত্মত্যাগ করলেও এই দলে তার রাজনীতির হাতে খড়ি হয়নি। অতীতে তিনি জাসদ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন।

কয়েক বছর পার হতেই জাসদ ছাত্রলীগ ছেড়ে ইসলামী ছাত্রশিবির এ যোগ দেন। এরপর থেকে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় তার সংগ্রাম চলমান আছে। ডা: শফিকুর রহমান একজন নামকরা চিকিৎসা।

আরও পড়ুন ( BUET) বুয়েটের প্রতিষ্ঠাতা নবাব সলিমুল্লাহ এর পরিচয় !

শফিকুর রহমান ১৯৫৮ সালের ৩১ অক্টোবরের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মোঃ আব্দুল মিয়া। তার মাতার নাম খাতিরুন নেছা। পরিবারের তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শফিকুর রহমান তৃতীয় ছিলেন। 

শিক্ষাজীবনে তিনি ১৯৭৪ সালে স্থানীয় বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৬ সালে সিলেট এম সি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৮৩ সালে সিলেট  মেডিকেল কলেজ (বর্তমানে এমএজি ওসমানী) মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

পরবর্তীতে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি রাজনীতিতে যোগ দেন। ছাত্র জীবনে তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজ ইসলামী ছাত্রশিবির শাখায় সভাপতি এবং সিলেট শহর শাখার সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর ১৯৮৪ সালে জামায়েতে ইসলামী তে যোগদানের মাধ্যমে তিনি বৃহত্তম রাজনীতিতে পা রাখেন।

ডা: শফিকুর রহমানকে 2016 সালে জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত করা হয়। বড় পরিসরে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি সেটা একনিষ্ঠ এবং সফলতার সাথে পালন করেন। ফলাফল পেয়ে যান খুব তাড়াতাড়ি। মাত্র তিন বছর পরেই ২০১৯ সালের ১২ ই নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী-র সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে তিনি আমির নির্বাচিত হন।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ২০২০ ২২ বর্ষাকালে জন্য আমীরে জামায়াত হিসেবে প্রথমবারের মতো শপথ গ্রহণ করেন। দলের প্রতি তার ভালোবাসা দেখে ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর জামাইকে ইসলামের সদস্যরা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো তাকে আমির নির্বাচিত করেন।

২০২২ সালের ১৮ নভেম্বরের ২০২৩- ২০২৫ কার্যকালের জন্য শপথ গ্রহণ করেন এবং এখনো পর্যন্ত সংগঠনটির আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতির পরিচয় পেলেও একজন সমাজসেবক হিসেবে ডা: শফিকুর রহমানের খ্যাতি আছে।

আমাদের চ্যানেল ভিজিট করুন dailystory0.5

Leave a Comment