অন্নদামঙ্গল সম্পর্কে আলোচনা-
চন্ডী ও অন্নদা অভিন্ন- একই দেবীর দুই নাম। এ দেবীর কাহিনীই অন্নদামঙ্গলে স্থান পেয়েছে। অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর। কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর ( প্রথম নাগরিক কবি) অষ্টাদশ শতকের তথা মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।
ভারতচন্দ্র প্রাচীন ভুরসুর পরগনার পেঁড়ো অথবা আধুনিক হাওড়া জেলার পাগুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কৃষ্ণনগর রাজসভার কবি ছিলেন। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের আবেশে তিনি তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি অন্নদামঙ্গল কাব্যটি রচনা করেন।
মহারাজ তাকে রায়গুণাকর উপাধিতে ভূষিত করেন। অন্নদামঙ্গল কাব্যটি তিন খন্ডে বিভক্ত । যথা- শিবায়ন-অন্নদামঙ্গল , বিদ্যাসুন্দর-কালিকামঙ্গল এবং মানসিংহ-অন্নপূর্ণ মঙ্গল। সত্য পীরের পাঁচালী কবির অন্য একটি বিখ্যাত গ্রন্থ। অন্নদামঙ্গল কাব্যের অমর উক্তি-
১। আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে-ঈশ্বরী পাটনী এ প্রার্থনা করেছেন।
২। বড়র পিরীতি বালির বাঁধ। ক্ষণে হাতে দড়ি, ক্ষণেকে চাঁদ।
৩। মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পতন।
৪। নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়।