আইপিএলের দলগুলোর মালিকেরা দল গোছাতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেন। মোটা অংকের এই অর্থ তারা উঠিয়ে তো নেনি সাথে প্রচুর লাভও করেন। কিন্তু কিভাবে ।চলুন জেনে নেওয়া যাক।আসলে খরচ বললে ভুল হবে, আইপিএলের দলগুলোর মালিকেরা একরকম বিনিয়োগ করেন।
শাহরুখ খানের মতো ভারতের বড় বড় ব্যবসায়ীরাই আইপিএলের দলগুলোর মালিক। তাই ক্রিকেটের চেয়ে ব্যবসায়িক লাভ- ক্ষতিই তাদের কাছে বেশি গুরুত্ব পায়। আইপিএল এর কারনে অনেক নাম না জানা ক্রিকেটার রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন। তাই তাদের নিয়ে খুব হইচই হয়। কিন্তু আইপিএলের কারণে টুর্নামেন্টটির প্রতিটি দলের মালিকরা প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা আয় করেছেন, যা অনেকেই জানেন না।
মিডিয়া স্বত্ত্ব অর্থাৎ সম্প্রচারকারী টিভি চ্যানেল এবং অনলাইন স্টিম হচ্ছে দলগুলোর আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ত্ব বিক্রি করে বিসিসি আই রোজগার করেছে ৪৮ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। শুরুতে এই অর্থ যায় ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের কোষাগারে। পরে দল গুলোর মালিকেরা নির্দিষ্ট হারে নিজেদের ভাগের অর্থ বুঝে নেন।
কোন দলের মালিক কত টাকা পাবে তা নির্ভর করে কোন দলটি কয়টি ম্যাচ খেলেছে তার উপর। প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়া দল গুলোর চেয়ে প্লে-অফ এবং ফাইনালে খেলা দলগুলো বেশি টাকা পান। এভাবেই মিডিয়া বা tv স্বত্ত্ব থেকে আইপিএলের দলগুলো ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ লাভ করে থাকেন।
আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খাত হচ্ছে ব্র্যান্ড স্পন্সরশিপ। প্রতিটি দলই বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। জার্সি এবং টিম কিটে সেসব কোম্পানি লোগো প্রদর্শনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন করা হয়। এছাড়া প্রতিটি দলের তারকা ক্রিকেটাররা কোম্পানিগুলোর বিজ্ঞাপনের মডেল হন।
২০২৩ সালের আইপিএল এর দিল্লি ক্যাপিটালস বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমানকে মাত্র একটি ম্যাচ খেলিছেন। কিন্তু ফিজের মাধ্যমে তারা ঠিকই তাদের সোশ্যাল মিডিয়া সাইডগুলোর মার্কেটিং করিয়ে নিয়েছে। এই ব্রান্ড স্পন্সরশিপ থেকে প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ লাভ করে থাকে আইপিএল এর দলগুলো। আইপিএলে আয়ের আরেকটি উৎস হলো টিকিট বিক্রি থেকে আসা টাকা।হোম ম্যাচের টিকিটের মূল্য মূলত মালিকরাই নির্ধারণ করেন। টিকিট বিক্রির প্রায় ৮০ শতাংশই তারা পান। আর বাকি ২০ শতাংশ পায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলো। এই আইপিএলের দলগুলো তাদের আয়ের উৎস খুঁজে নেন।