আবরার ফাহাদ এর পরিচয় The identity of Abrar Fahad বিস্তারিত পড়ুন….
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন রাতেই আবরার কে শেষ করে দেওয়া হয়। সারা জীবনের জন্য থামিয়ে দেওয়া হয় তার সমালোচনামূলক লেখালেখির হাতকে।
আবরার ফাহাদ ১৯৯৮ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার জন্মগ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমুলখালী উপজেলায়। তার বাবা মোহাম্মদ বরকতউল্লাহ ব্রাকের একজন অডিটর এবং মা রোকেয়া খাতুন কিন্ডারগার্ডেনের শিক্ষক। মেধাবী ফাহাদের পড়াশোনা শুরু হয়েছিল নিজ জেলা কুষ্টিয়াতেই। তিনি কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে ভর্তি হন কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে। এখানে তিনি মাধ্যমিক করেছেন। মাধ্যমিক শেষ করার পর উচ্চমাধ্যমিক করার জন্য আবরার ঢাকায় চলে আসেন।
ঢাকায় এসে ভর্তি হন দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নটরডেম কলেজে পড়ার সুযোগ পান। এই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি সম্পূর্ণ করেন। এরপর সুযোগ পান বহু শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট-এ । ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ তিনি বুয়েট-এর তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। তার ইন্তেকালের সময় তিনি এই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে। আবরার ফাহাদ প্রায় বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের সমালোচনা করতেন।
পাঁচ বছর আগে তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন. কে বলে হিন্দুস্থান আমাদের কোন প্রতিদান দেয় না। এই যে ৫০০ টন ইলিশ পাওয়া মাত্র ফারাক্কা খুলে দিছে। এখন আমরা মনের সুখে পানি খাবো আর বেশি বেশি ইলিশ পালবো। ইনশাল্লাহ আগামী বছর একেবারে ১০০১ টন ইলিশ পাঠাবো। ক্ষোভের জায়গা থেকে তিনি কেমন স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তার কথাগুলো এখনো প্রাসঙ্গিক। আবরার যেটা ৫ বছর আগে বুঝতে পেরেছিলেন , অনেকে সেটা এখন বুঝছেন। শুধু ফারাক্কা বাঁধ নিয়েই নয়, ভারতের আরো বিভিন্ন অসময় নীতি নিয়ে তিনি কথা বলে গেছেন। অনেকের ধারণা তার এই সমালোচনামূলক পোস্টের জন্যই তার জীবন চলে গেছে। ২০১৯ সালে ৬ অক্টবর সন্ত্রাশী ছাত্রলীগের হাতে তার মৃত্যু হয়।
জেমসের জীবনের গল্প James’s life story