সিরিয়ায় খ্রিস্টানদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখানকার অবশিষ্ট মুসলমানরা একে একে মদিনা মুনাওয়ারায় চলে আসবে। অন্যদিকে খ্রিস্টানদের রাজত্ব ও কর্তৃত্ব পর্যায়ক্রমে সম্প্রসারিত হতে থাকবে। এমন কি এক সময় মদিনার পার্শ্ববর্তী খায়বার পর্যন্ত এদের শাসন বিস্মৃতি লাভ করবে। এ সময় হঠাৎ করেই মুসলমানদের অন্তরে ইমাম মাহদী আলাইহিস সালামের অনুসন্ধানের স্পৃহা জাগরিত হবে।
তাদের কাছে মনে হবে, ইমাম মাহদীই এই সস্কটকালে একমাত্র ত্রাণকর্তার ভূমিকা পালন করতে পারবেন। এছাড়া শত্রুদের কঠিন থাবা থেকে আমাদের বাঁচার আর কোন পথ নেই। ঘটনাচক্রে ইমাম মাহদী তখন মদিনাতেই অবস্থান করবেন। কিন্তু ইমাম মাহদী এই আশঙ্কায় মদিনা ছেড়ে মক্কায় চলে যাবেন। হযরত মানুষ আমার মত একজন দুর্বল মানুষের উপর এই মহানও বিরাট দায়িত্ব চাপিয়ে দিতে পারে।
ইমাম মাহদীর মদিনা ছেড়ে মক্কা চলে যাওয়ার পরও তার অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে। তখনকার যুগের গাউছ-কুতুব , অলি- আউলিয়া ও পীর- মাশায়েখগণ তাকে তন্ন তন্ন করে তালাশ করতে থাকবেন। এ সময় ইমাম মাহদীর কিছু কিছু মিথ্যা দাবিদারের আবির্ভাব ঘটবে।চতুর্দিকে যখন ইমাম মাহদীর অনুসন্ধান এবং মিথ্যা মাহদী দাবিদারের এই বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করবে, ঠিক তেমনি সময় একদিন হযরত ইমাম মাহদীকেও মাকামে ইবরাহীম ও রুকনের মাঝামাঝি স্থানে বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ রত অবস্থায় একদল মুসলমান চিনে ফেলবেন।
তারা ইমাম মাহদীর অনিচ্ছায় জোর -জবরদস্তি তাঁর হাতে বায়আত গ্রহণ করবেন। এই ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার নিদর্শন বা আলামত হবে এই যে, এর পূর্বের রমযান মাসে সূর্য এবং চন্দ্রগ্রহণ হবে। আর ইমাম মাহদীর হাতে বায়আত নেয়ার সময় আসমান থেকে ঐশীবাণী শোনা যাবে-ইনিই আল্লাহর খলিফা মাহদী, তার নির্দেশ মোন এবং সে মতে চল। এই সব বাণী সেখানকার উপস্থিত সকল বিশিষ্ট ও সাধারণ লোকজন স্পষ্টভাবে শুনতে ও বুঝতে পারবে।