ইমাম মাহদীর বাহিনীতে দলে দলে লোকেরা যোগদান করতে শুরু করে। আল্লাহর খলিফারূপে ইমাম মাহদীর আগমনের সংবাদ বিদ্যুৎগতিতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। মদিনায় এই সংবাদ পৌঁছামাত্র সেখানকার সৈন্যদল মক্কায় চলে আসবে। সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেন- এর শীর্ষস্থানীয় পীর- মাশায়েখ, আউলিয়াকে কেরাম ইমাম মাহদীর সান্নিধ্যে আশ্রয়ে গ্রহণ করবেন। এছাড়া সমগ্র আরব জাহানের অসংখ্য মানুষ তার সৈন্যবাহিনীতে যোগ দিতে থাকবে।
এ সময় ইমাম মাহদী তাজুল কাবা বা কাবা মুকুট হিসাবে খ্যাত কাবা ঘরে হীরা- মুক্তা ও অমূল্য সম্পদ মুসলমানদের মাঝে বন্টন করে দিবেন। সমগ্র মুসলিম বিশ্বে যখন এসব সংবাদ ছড়িয়ে পড়বে, তখন খোরাসান থেকে এক ব্যক্তি এক বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে ইমাম মাহদীর সহযোগিতার জন্য অগ্রসর হবেন। এই বিশাল সৈন্যবাহিনীর অগ্রভাগে মানসুর নামক এক ব্যক্তির কমান্ড বা নেতৃত্ব থাকবে।
ইমাম মাহদীর সাহায্যে এগিয়ে আসা এই বাহিনী পতিমধ্যে অসংখ্য খ্রিস্টান বিধর্মীদের চিহ্নিত করে দিবে। ইতিপূর্বে আলোচিত হযরত আবু সুফিয়ান (রাযি.) – এর বংশের এক লোক নবী পরিবারের সাথে চরম দুশমনী রাখবে। তার মাতামহ হবে বনু কালব গোত্রের । এই ব্যক্তি ইমাম মাহদীর মোকাবেলো করার জন্য সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করবে।
তার এই বিশাল বাহিনী মক্কা- -মদিনার মাঝামাঝি পাহাড়ি অঞ্চলের এক প্রশস্ত ময়দানে অবস্থান নিবে। এই অবস্থানকালেই এখানকার ভালো- -মন্দ সকল সৈন্য মাটির নিচে তলিয়ে যাবে। কিয়ামতের দিন এদের বিচার ও হিসাব- নিকাশ হবে, তাদের নিজ নিজ আকীদা- বিশ্বাস ও আমলের উপর ভিত্তি করে। তবে এই বাহিনীর মাত্র দুজন সৈন্য খোদায়ী এই গযব থেকে রেহাই পেয়ে যাবে। এদের একজন ইমাম মাহদীকে অপরজন সুফিয়ানী বাদশাহকে এখানকার ঘটনা সবিস্তারে বর্ণনা করে শুনাবে।