ইয়াজুজ মাজুজের পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। এদিকে খাটি মুসলমানদের নিয়ে তূর পাহাড়ে আশ্রয় গ্রহণকারী হযরত ঈসা (আ:) মারাত্মক খাদ্য সংকটে নিপতিত হবেন। খাদ্য সংকট এত প্রকট আকার ধারণ করবে যে, শত শত আশরাফী দিয়েও কোথাও একটি গাভীর মাথা পর্যন্ত পাওয়া যাবে না। এই অবস্থায় হযরত ঈসা (আ:) আল্লাহর দরবারে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি লাভের আশায়,দুআ করার জন্য প্রস্তুত হবেন। হযরত ঈসা (আ:) আল্লাহর দরবারে দুআ করবেন আর কার সাথে-সঙ্গীগণ কার সাথে সাথে আমীন আমীন বলে দুআ কবুলের জন্য প্রার্থনা করতে থাকবেন।
হযরত ঈসা (আ:)- এর দুআর প্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা সর্বত্র একটি রোগ ছড়িয়ে দিবেন। আরবীতে এই রোগকে নগফ বলা হয়। এ রোগটি এক ধরনের দানা, যা বকরী ও ভেড়ার ঘাড় বা নাক থেকে নির্গত হয়। এই রোগটি স্বল্প সময়ে মাঝে প্লেগ বা মহামারীর আকার ধারণ করে আক্রান্ত সকলকে নিমিষে মৃত্যুর মুখে মুখে ঠেলে দিবে। আল্লাহ তাআলার নির্দেশে এই মহামারী ইয়াজুজ- মাজুজ সম্প্রদায়কে এক রাতেই ঝঁড়ে- বংশে নির্মূল করে দিবে।