উচ্ছিষ্ট খাবারে পরিতৃপ্ত হওয়া

হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. একবার ক্ষুধার্ত অবস্থায় খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত ওমর ফারুক রাযি. এর খেদমতে হাজির হলেন। আবূ হুরায়রা রাযি. তার জন্য অপেক্ষা করলেন। যখন তিনি তাসবীহাত থেকে ফারেগ হলেন, আবূ হুরায়রা রাযি. বললেন, আমাকে কুরআন শরীফের কিছু আয়াত পড়িয়ে দেন। তিনি বলেন আমার উদ্দেশ্য ছিল, আমার অবস্থা বুঝে আমাকে খাওয়ার দাওয়াত দিবেন। কিন্তু তিনি বুঝলেন না। তিনি আমাকে সূরা আলে ইমরানের কয়েকটি আয়াত পড়িয়ে দিলেন।

এরপর দু’জনেই উঠে বের হলেন, যখন ওমর রাযি. তাঁর ঘরের কাছে পৌছালেন, তখন তিনি ঘরে প্রবেশ করলেন। হযরত আবূ হুরায়রা রাযি, মনে মনে ভাবলেন, হয়তো তিনি কাপড় পাল্টাবেন। আর তাকে খাওয়ার জন্য ডাকবেন। কিন্তু ওমর রাযি. ঘরে প্রবেশের পর অনেক দেরি দেখে তিনি চলে এলেন। ফিরতী পথে সামনে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পেলেন। নবীজী সামনে এসে আবূ হুরায়রা রাযি. এর সাথে কথা বলা শুরু করলেন। নবীজী বললেন, আবূ হুরায়রা! তোমার মুখ থেকে এত দুর্গন্ধ আসছে কেন? মনে হয় তুমি রোজা রেখেছ?

আবূ হুরায়রা রাযি . বললেন , জি হ্যাঁ ! ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমি লাগাতার ইফতার বিহীন রোজা রাখতেছি। ইফতার করার মতো কিছুই আমার কাছে নাই। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমার সাথে চলো। তখন তিনি নবীজির সাথে চলে এলেন। ঘরে এসে নবীজী তার একজন কালো চেহারার দাসীকে ডাকলেন এবং তাকে বললেন, ঐ পেয়ালাটা নিয়ে আস । দাসী পেয়ালা নিয়ে আসলো। পেয়ালার মধ্যে কিছু উচ্ছিষ্ট খাবার ছিল। খাবার গুলো সম্ভবত পাকানো কোনো জিনিস ছিলো। পেয়ালার মধ্যে যেই খানা ছিলো তা নবীজী খেয়েছিলেন। পেয়ালার কোণায় কিছু খাবার লেগে ছিলো, হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. বিসমিল্লাহ বলে নবীজীর উচ্ছিষ্ট খাবার খাওয়া শুরু করলেন এবং এই উচ্ছিষ্ট খাবারেই তিনি পূর্ণ তৃপ্ত হলেন।

খেজুরের থলি সম্পর্কে

দারিদ্রতার ঘটনা

Leave a Comment