এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন প্রতিবেদনে-
সাড়ে তিনশ বর ধরে ঠিক দারিয়ে আছে এমন একটি বটগাছ। যা পাঁচ একর জমির উপর যুগের পর যুগ দারিয়ে আছে। একটা মাত্র গাছকেই দেখতে ছোট খাটো একটি বনের মতো মনে হয়। যতই দিন যাচ্ছে , ততই গাছের আয়তন বেড়ে চলেছে। বিস্ময়কর এই গাছটি হলো একটি বটগাছ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার হাওড়ায় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যান।
ছত্রাক সংক্রমণের কারণে গাছের মূল কান্ড কেটে ফেলতে হয়েছে। তবু এই বটগাছ নিজের বিস্তার কার্যক্রম বাড়িয়েই চলছে। বড়ধরনের বটগাছটির পরিধি বরাবর নির্মাণ করা হয়েছিল ৩৩০ মিটার দীর্ঘ রাস্তা। কিন্তু সেই রাস্তারও বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে গাছটি। এ কারণে বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এর চলন্ত গাছ হিসেবে উপাধি দিয়েছে। বিশাল আকারের গাছটি গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে স্থান করে দিয়েছে। একে বলা হয় দ্য গ্রেট ব্যানিয়ন ট্রি।
অতীতের তথ্য অনুসারে জানা যায়, একটি খেজুর গাছের মাথায় এই বটগাছটির বীজ পড়েছিল। এরপর খেজুর গাছের উপরই জন্ম নেয় গাছটির। সেখান থেকে বেড়ে উঠতে উঠতে বিশাল আকার ধারণ করে। বটগাছের শাখা-প্রশাখা আর জড়ির পাশে মারা যায় খেজুর গাছটি। বর্তমানে ৫ একর জমি জুড়ে গাছটি বিস্তার লাভ করেছে। শত শত ঝুড়ি নিয়ে এখনো সে যথেষ্ট বিস্তার লাভ করছে।
ভারতে বট গাছের একটি আধ্যাত্মিক, পৌরাণিক এবং ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে। এই গাছে ভারতীয়দের কাছে অন্তত জীবন অথবা উর্বরতার প্রতীক। তাই বাড়ি এবং মন্দিরের চারপাশে রোপন করা হয় গাছটি। আজব এই বটগাছের উচ্চতা২৬থেকে ২৬ মিটার বা ৭৫ থেকে ৮০ ফুটের কাছাকাছি। মুম্বাইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার মতো লম্বা। গাছের শোষণ মূলের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ২০০টি।
কিছুদিনের মধ্যে হয়তো গাছটি ছড়িয়ে যাবে 5 হাজারের মতো। উদ্যানের দক্ষিণ পূর্ব দিকে সীমানা প্রাচীর ও ঘিঞ্জি এলাকায়। যে কারণে সে দি ক গাছ সেভাবে বাড়ে না। এর উল্টোদিকে ফাঁকা আলো বাতাসের প্রবাহ, ফলে সেদিকে গাছ বেড়ে উঠছে বিশাল আকারে। সময়ের পরিক্রমায় নানা সময় গাছটির ক্ষতিও হয়েছে। ১৮৬৪ এবং ১৮৬৭ সালের প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে যায় এর কতগুলো প্রধান শাখা। আক্রান্ত হয় ছত্রাকে।