হুযুর সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামতের অসংখ্য আলামত বা নিদর্শ ন বর্ণনা করে গেছেন। সেগুলোকে প্রথমত দুই ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে।
এক: আলামতে শুকরা বা ছোট আলামত
দুই: আলামতে কুবরা বা বড় আলামত।
কিয়ামতের ছোট আলামতের প্রকাশকাল হলো- মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তিরোধানের পর থেকে হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সাল্লাম এর আবির্ভাবের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। আর কিয়ামতের বড় থেকে নাফখে সূর বা শিঙ্গা দেওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। আর শিঙ্গা ফুঁক দেয়ার মাধ্যমেই শুরু হবে কিয়ামতের প্রারম্ভিক কাজ।
খ্রিস্টানদের সিরিয়া দখল, মুসলমানদের পুনরুদ্ধার
কিয়ামতের এইসব আলামত বা নির্দেশনাবলী প্রকাশ পাওয়ার পর সর্বত্র খ্রিস্টানদের প্রভাব বিস্তার লাভ করবে। বহু দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা তারা ছিনিয়ে নিবে। এভাবে দীর্ঘ একটা সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আরব দেশে(এবং সিরিয়াতে)। হযরত আবু সুফিয়ান রাযিআল্লাহু আনহুর বংশে এক যুবকের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। যে সাইয়িদ বংশের লোকদের নির্মমভাবে হত্যা করবে। সিরিয়া ও মিশরের সর্বত্র তার রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।
এ সময় রোম সম্রাট একটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন। খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে সম্রাটের এই যুদ্ধে খ্রিস্টানরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়বে। তাদের একটি দল সম্রাটের সাথে সন্ধি করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু এর পরও রোম সম্রাট খ্রিস্টানদের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে রাজধানী কুস্তূনতুনিয়া ট্যাগ করতে বাধ্য হবেন। খ্রিস্টানদের অধীনে কুস্তূনতুনিয়া চলে যাওয়ার পর মোট সম্রাট চলে আসবেন সিরিয়াতে। তিনি এখানে বসেই খ্রিস্টানদের যে দলটি তার সাথে সন্ধি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিল, তাদের সহায়তায় ইসলামী সৈন্যদের এক বিরাট বাহিনী কুস্তূনতুনিয়া পুরুষোদ্ধারের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করবেন। এবার ইসলামী বাহিনী খ্রিস্টানদের সাথে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে নেমে পড়বেন। মুসলিম সেনাদের তীব্র আক্রমণের ফলে কুস্তূনতুনিয়া ছেরে পালিয়ে যাবে।