লোকবলের দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাহিনী আনসার! তিন ধরণের সদস্য মিলিয়ে আনসারের মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬১ লাখ। এর মধ্যে ব্যাটেলিয়ান আনসারের সদস্য সংখ্যা ১৮ হাজার বা এর বেশি। অঙ্গীভূত আনসারের সংখ্যা ৭০ হাজারের ও বেশি। সবচেয়ে নিচে থাকা গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী বা ভিলেজ ডিফেন্স পার্ট অথবা ভিজিপি- টিডিপির সংখ্যা ৫৯ লাখের কাছাকাছি। যারা আন্দোলনে নেমেছেন তারা হলেন প্রায় ৭০ হাজার সদস্যের অঙ্গীভূত বা সাধারণ আনসার। কাজ করেন দৈনিক ৫৪০ টাকা চুক্তির ভিত্তিতে। এর পাশাপাশি রয়েছে কিছু রেশন সুবিধা।
কাজ না থাকলে বেতন নেই। এদের বেতন কিন্তু সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয় না। কোন প্রতিষ্ঠান যদি মনে করেন তাদের নিরাপত্তায় জনবল প্রয়োজন, তখন তারা আবেদন করে। থাকা খাওয়া আর অস্ত্র রাখার জায়গা থাকা এবং দুই মাসের আগাম বেতন নিয়ে আনসার বাহিনীকে তিন বছরের জন্য পাঠানো হয় সেখানে। চাকরিতে নেওয়ার আগেই সব শর্ত জানিয়ে দেওয়া হয়। ৭০ হাজারের মধ্যে প্রায় ৫৫ হাজার সদস্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। বাকি ১৫ হাজার সদস্য রেস্ট টাইমে থাকেন।
নতুন চাহিদা পেলে রেস্টে থাকার সদস্যদের পাঠানো হয় কাজে। সাধারণ এই আনসারদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর রেস্টে যেতে হয়। তখন তাদের নিজের টাকা খরচ করে চলতে হয়। এই ভাবেই দৈনিক চুক্তিতে কাজ করতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে গেছেন তারা। চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানাচ্ছেন বহু বছর ধরে। গণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবারও সচিবালায় ঘেরাও করে দাবি আদায় করার জন্য। তবে প্রবল বন্যার মধ্যে সচিবালায় ঘেরাও, ও ছাত্রদের উপর হামলার পর বহু মানুষ আনসার বাহিনী বিলোপের দাবি জানাচ্ছেন।
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ এরপর জাতীয় গার্ডে কিছু সদস্য পাকিস্তানের নাগরিক হয়। তাদেরকে দিয়ে গঠন করা হয় আনসার বাহিনী। ১৯৪৮ সালে আইন করা হয়। তখন বাড়ি ফেব্রুয়ারির আত্মপ্রকাশ করে আনসার বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের সময় আনসারের বেশিরভাগ সদস্য মুক্তি বাহিনীর গেরিলা হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারকে গার্ড অফ অনার দেয় এই বাহিনীটি।