খ্রিস্টান বাহিনীর বিরুদ্ধে ইমাম মাহদীর অলৌকিক বিজয়। ইমাম মাহদী খ্রিস্টানদের বিশাল বাহিনীর মোকাবেলায় চতুর্থ দিন যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন অস্ত্রাগার এবং সৈন্যদের খাদ্যশস্য ও রসদ সংরক্ষণের নিয়োজিত স্বল্প সংখ্যক মুসলিম সেনা সদস্যদের নিয়ে। হয় শহীদ নয় গাজী;- এই শপথ নিয়ে সৈন্যবাহিনী চতুর্থ দিনের মতো খ্রিস্টানদের সাথে এক অসম যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে।
আল্লাহ তায়ালার রহমত মুসলিম বাহিনীর উপর সুপ্রসন্ন হবে। মুসলমানদের জন্য এ দিনটি হবে ফাতহে মুবীন বা প্রকাশ্য বিজয়ের দিন। খ্রিস্টানরা স্বল্পসংখ্যক মুসলমানদের সাথে চরমভাবে পরাভূত হবে। অসংখ্য খ্রিস্টান সৈন্য মুসলমানদের হাতে নিহত হবে। বিখ্যাত ও বিপর্যস্ত অবশিষ্ট খ্রিস্টানদের মন- মগজ থেকে রাষ্ট্র ও রাজকীয় ক্ষমতার স্বাধ চিরদিনের জন্য মিটে যাবে। একেবারে অসহায়, চরম বে-ইজ্জতীর সাথে যুদ্ধের ময়দান থেকে ছুটে পালিয়ে যাওয়ার পথে মুসলমান সৈন্যরা তাদের ধাওয়া করতে থাকবে।
এ সময় অসংখ্য খ্রিস্টান শুন্য মুসলমানদের হাতে জাহান্নামের পথে পাড়ি জমাবে। এরপর ইমাম মাহদী খ্রিস্টান বাহিনীর পরিত্যক্ত অমূল্য ধন- সম্পদ বীর বাহাদুর মুসলিম সেনাবাহিনীর মাঝে বন্টন করে দিবেন। কিন্তু এই অঢেল ধন- সম্পদ ও রত্ন- ভান্ডার মুসলিম সৈন্য বাহিনীর মাঝে আনন্দ ছড়াতে পারবেনা। তাদের মন থাকবে মলিন, হৃদয় থাকবে ভারাক্রান্ত। কেননা খ্রিস্টানদের সাথে এই যুদ্ধে মুসলমানদের বহু গোত্র ও বংশের অবস্থায় এমন হবে যে, তাদের সাথে একজনও জীবিত থাকবে না।