গনভবন যেভাবে দখল করেছিলেন শিক্ষার্থীরা

সম্প্রতি গণভবনের উপর দিয়ে টর্নেডো বয়ে গেছে। জনগণ গনভবনে ঢুকে কেউ নিয়ে যাচ্ছেন এসি,কেউ হাস,কেউ মুরগি,কেউ হাসিনার শাড়ি,কেউ রাজা হাস,কেউ চেয়ার কেউ টেবিল এমনকি শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কাপড়চোপড় ও জিনিস।

২০০৯ সালের ১৩ অক্টোবর এই ভবনে উঠেছিলেন হাসিনা। মোট ৫ হাজার ৪১০ দিন তিনি গণভবনে ছিলেন। তার দেশ ছাড়ার খবর শোনার পর লাখো জনতা গণভবনের প্রতিটি কক্ষে তান্ডব চালিয়েছে। এখন গণভবনের অবস্থা বিদ্ধস্ত।তবে ঐতিহ্য ও আভিজাত্যের দিক থেকে গণভবনের মর্যাদা সবার জন্য। এটি একটি রাজপ্রশাদের চেয়ে কমকিছু নয়।

গণভবনের ইতিহাস বেশ মজাদার। ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের নাম জড়িয়ে আছে। স্বাধীনতার পর রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রথম বার বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে গণভবন নির্মাণ করা হয়েছিলো। এই ভবনে রাত কাটিয়েছিলেন তিনি। গণভবন নির্মানের পেছনে আরও কিছু কারণ হয়তো থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য সহজ আবাসন ব্যবস্থা।

প্রেসিডেন্ট ভবনে বঙ্গবন্ধু অনেক কষ্ট করে অফিস করতেন।তার সকল স্টাফদের জন্য জায়গা হতো না। এ কারণে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে শেরে বাংলা নগরে সংসদ ভবনের পাশে তাঁর বাসভবন ও সচিবালয় নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বাসভবনটি গণভবন নামে পরিচিত। গণভবন নির্মাণের মূল নকশা করেন দুই ইন্জিনিয়ার আবুল বাশার এবং প্রকৌশলী খবিরুদ্দীন বেগ।কুষ্টিয়ার আতা মোহাম্মদ মুসা ছিলেন গণভবনের ঠিকাদার। 

এ অঞ্চলটি ঢাকার সবচেয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত একটি এলাকা।গণভবন থেকে প্রাধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জাতীয় সংসদের দুরত্ব সামান্য। সময়ের ক্রমে বাংলাদেশের অনেক স্থাপনার নাম বদল হলেও গণভবনের নাম পরিবর্তন হয়নি। প্রাচীন আমল থেকে মাথা উচু করে দায়িয়ে ছিল এই ভবনটি।

যমুনা টিভি কেন জনপ্রিয়তার  শীর্ষে

( BUET) বুয়েটের প্রতিষ্ঠাতা নবাব সলিমুল্লাহ এর পরিচয় !

Leave a Comment