গালিভার ১৬৬০ সালে নটিংগামসিয়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার সেখানে ছোট জমিদারি ছিল। যখন তার বয়স ১৪বছর তখন তার বাবা তাকে কলেজে পাঠান। যেহেতু এটা ছিল ব্যয়বহুল তাই তিনি সেখানে তিন বছর অবস্থানের পর তা ছেড়ে আসেন। তখন গালিভার ১৬৮১ সাল পর্যন্ত মি.বেটস এর নিকট চিকিৎসা শাস্ত্র পড়াশোনা করেন । যখন তিনি মি.বেটসকে ফিরে আসলেন তখন তার বাবা তাকে ইংল্যান্ডের লিডেনের মেডিকেল কলেজে পাঠালেন। তিনি স্যালো নামক জাহাজে নিয়োগ পেলেন। এখানে তিনি চার বছর অবস্থান করেন এবং তারপর তিনি লন্ডনে স্থায়ীভাবে বাস করার চিন্তা করেন। তার শিক্ষক মি. বেটস তার নিকট তার কিছু রোগী পাঠাতেন এবং তিনি একটি ছোট বাড়ি কিনলেন এবং বিবাহ করলেন।
১৬৮৯ সালে তার শিক্ষক যখন মারা গেলেন তখন তিনি বেশ আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়লেন। তাই তিনি আবার জাহাজে যেতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। পরবর্তী ছয় বছর তিনি দুটি জাহাজে সার্জন ছিলেন এবং তিনি পূর্ব এবং পশ্চিম ইন্ডিজ ভ্রমণ করেন। অবসর সময়ে তিনি সাগরে ভ্রমণ সংক্রান্ত বই পড়াশোনা করতে এবং যখন তিনি তীরে আসতেন তখন তিনি অদ্ভুত লোকদের জীবনযাত্রা পর্যবেক্ষণ করে সময় কাটাতেন এবং তাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি শিখতেন। যেহেতু শেষের অভিযানগুলো খুবই মজার ছিল তাই তিনি আবার তিন বছর ধরে পরিবার নিয়ে ডাক্তার হিসেবে ফিরে বাস করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু এবারও তিনি ভালো করতে পারলেন না। তাই তিনি এন্টিলগ জাহাজের মাস্টারের একটি ভালো প্রস্তাবে রাজি হলেন। যে জাহাজটি ১৯৯৯ সালের ৪ঠা মে ব্রিস্টল থেকে সমুদ্র যাত্রা করেছিল।