বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনবরত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন জনপ্রিয় ইউটিউবার দাউদ কিম। ফেসবুকে তিনি ঘন্টায় ঘন্টায় বাংলাদেশ নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। বাংলাদেশের দুর্দশা চিত্র তুলে ধরেছেন। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় দাউদ কিম তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, প্রে-ফর বাংলাদেশ স্টুডেন্ট, এভাবেই শুরু। এরপর আরো একটি স্ট্যাটাস দেন যার শেষে লেখেন, আল্লাহ তাদের (শিক্ষার্থীদের) পথ চলার সহজ করুন। যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, আল্লাহ তাদের অসীম গৌরব ও বিশ্রাম দিন…আমিন। তিনি বাংলাদেশের জন্য বিশেষ ভিডিও বার্তাও পাঠিয়েছেন। ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে দাউদ কিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়ান। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। ঘুরেছেন বাংলাদেশের রাস্তা-ঘাটে, খেয়েছেন দেশী খাবার।
বাংলাদেশের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা তাকে মুগ্ধ করেছিল। তাই বাংলাদেশের এই দুরবস্থায় তার মন কাঁদছে। খুব বেশিদিন হয়নি, দাউদ কিম দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি মসজিদ বানিয়েছেন। এটা তার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল। তার স্বপ্ন পূরণের যাত্রাটা এতটা সহজ ছিল না। মসজিদ নির্মাণের এই যাত্রায় নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে দাউদ কিমের। এক লক্ষ ৩৬ হাজার ৫০০ ডলারে মসজিদের জন্য জমি কিনেছিলেন তিনি। এই অর্থের বেশিরভাগই আসে অনুদান থেকে। মসজিদ নির্মাণে সফল হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা তিনি বাংলাদেশ থেকেই পেয়েছিলেন।
দাউদ কিমের জীবনটা এখনও খুবই ছোট,তবে বৈচিত্রে ভরপুর।ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার আগে তিনি গায়ক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ইসলামের আলোয় এসে সেসব ছেড়ে দিয়েছিলেন। এখন youtube এই তার পূর্ণ মনোযোগ। তিনি তার ভিডিওগুলোতে ইসলামিক কনটেন্ট, নামাজ পড়ার ভিডিওসহ ইসলাম ধর্মের সকল বিষয় তুলে ধরেন। দাউদ কিম কীভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন,এবং কিভাবে তিনি ইউটিউবে জনপ্রিয় হলেন? তা সকলেরঐ অজানা।
দক্ষিণ কোরিয়ার শেওনানে দাউদ কিমের জন্ম।ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার আগে তার নাম ছিল জে কিম। জানা যায় , ২০০১ সালে একটি ঘটনার চক্রে দাউদ কিম, ইসলাম শব্দটির সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন। একসময় ইসলাম নিয়ে কার মনে নেতিবাচক ধারণাও ছিল । কিন্তু পরে তার youtube চ্যানেলের মাধ্যমে, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা, নানা প্রান্তের মুসলমানদের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটতে থাকে। তারপর ধীরে ধীরে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন দাউদ কিম।
তিনি প্রথম শিশুদের জন্য লেখা ইসলামিক বইগুলো পড়তে শুরু করেন। আরবি পড়তে জানতেন না, তাই কোরিয়ান ভাষায় অনুবাদ পড়তেন। এছাড়া ঘুরতে ঘুরতে তিনি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও তিউনিশিয়া যান। দেশগুলোতে গিয়ে ইসলাম ধর্মকে কাছ থেকে দেখে ও বুঝে আরও আকৃষ্ট হন। ইসলামের জীবন বিধান দেখে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে আগ্রহী হন। পরবর্তীতে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
দাউদ কিমকে ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন এবং আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে জানাবেন।