জাহাজ পরিষ্কারের কাজ শুনলে মনে হবে সহজ কাজ কিন্তু কাজটি প্রকৃত পক্ষে মোটেও সহজ নয়। বছরের পর বছর ধরে বিশাল বিশাল সব জাহাজ পানিতে থাকার কারণে জাহাজের তলায় ধীরে ধীরে জমতে থাকা নানান রকম শৈবাল শামুকসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক অনুজীব। জমে থাকা ময়লা গুলো জাহাজের নিচে জমে শক্ত ও অমসৃণ আস্তরণ তৈরি করে।জাহাজের তলদেশের শেওলা এবং অন্যান্য সামুদ্রিক অনুজীবের ফাউলিং বলা হয়। এই সব ময়লা জমার কারণে পানির মধ্যে জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এবং বেশি জ্বালানিরও প্রয়োজন পড়ে ও জাহাজ ভারী হয়ে যায়। এছাড়া জাহাজের নিচের রং এবং ধাতুর মূল কাঠামোর ক্ষতি করে।
১৩ থেকে ১৮ মাস পর জাহাজের তলা পরিষ্কার করা হয়। পানির উপরে এবং পানির নিচে দুই ভাবেই এই কাজ করা যায়। অন্যন্ত ব্যয়বহুল পরিষ্কার হলো ড্রাই ডকে জাহাজ। ড্রাই ডাকে পরিষ্কার করতে প্রয়োজন ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকা। জাহাজ গুলো না পরিষ্কার করলে আর্থিক ক্ষতিও হতে পারে। জাহাজের মালিক টাকা বাচাতে ডাইভার বা ডুবুরি দিয়েই কাজটি করাতে চান। এতে তাদের খরচ ও সময় কম লাগে। যাকে বলা হয় শিপস হাসবেন্ড্রি।
এই সব কাজের জন্য অত্যন্ত দক্ষ ড্রাইভাররা দীর্ঘ সময় ধরে এবং হারবারের নিচের অন্ধকার এবং তেল মেশানো পানিতে কাজ করেন। যদিও তাদের বেতন অনেক বেশি তবে তাদের কাজ অন্যান্ত বিপদজ্জনকও বটে। জাহাজ পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করা হয় শক্তিশালী ঘূর্নায়মান ব্রাশ। এছাড়া ব্যবহার করা হয় উচ্চ চাপের পানি। পানিতে বা ডাঙ্গায় উভয় স্থানেই এ কাজটি করা যায়। এটি কার্যকর পদ্ধতি হলেও জাহাজের তলায় ক্ষতি করতে পারে। জাহাজের তলের অংশ পানির অনেক নিচ পর্যন্ত পৌছায় তাই কাজটি অত্যান্ত ভয়ানক।
ম্যাক ট্রাক ঘন্টায় কত কিমি চলে?
বাজারে-আসছে-সিএনজি বা গ্যাস চালিত বাইক।