ডিআইজি হারুন-অর রশিদ। তিনি দেশের সবচেয়ে আলোচিত পুলিশ কর্ম কর্তা। ঢাকা, মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের নাম পত্র-প্রত্রিকায় আসে সেই ২০০২ সালে। এর আগের বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স, মাস্টার্স শেষ করে ২০ তম বিসিএসে সহকারী পুলিশ সুপার বা এসপি পদে যোগদান করেন।
২০০১ সালে ক্ষমতায় তখন আওয়ামী লীগ সরকার। সারদায় এক বছরের প্রশিক্ষণ শেষে তাঁর বিয়ের আয়োজন করে পরিবার। ক্ষমতার পালাবদলে সরকারে চলে আসে বিএনপি। সরকারের পদক্ষেপে আটকে যায় তার বিয়ে। হারুনসহ অনেককে তখন সারদা ছাড়তে দেয়া হয়নি। প্রশিক্ষণের মেয়াদ শেষে রাখা হয় আরও ছয় মাস। এর মধ্যেই আসে চাকরিচ্যুতির চিঠি। কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।
আত্মপক্ষ সমর্তনের সুযোগও দেয়া হয়নি। সারদা থেকে হতভম্ব অবস্থায় ঢাকায় আসেন হারুন। কী করবেন কিছু বুঝেতে পারছিলেন না। একদিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেন। তাঁর পরামর্শে আদালতে মামলা করলেন সরকারের বিরুদ্ধে। সে সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। বঞ্চিত অফিসারদের পাশে দাড়ালেন তিনি। হারুন যোগ দিলেন মার্কেন্টাইলে।
এর পর সেন্ট্রাল ল কলেজ থেকে আইনের ডিগ্রিও নেন। এরপর হারুন-অর রশিদের আটকে যাওয়া বিয়েটা হলো। ২০১৬ সালে তাঁর স্ত্রী ডিবি লটারি পেয়ে আমেরিকায় চলে যান, কিন্তু যেতে রাজি হলেন না হারুন।এর মধ্যে হাইকোট তার পক্ষে রায় দেয়, তবু তাকে যোগ দিতে দেয় না সরকার। বলা হল সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। আবার মামলা করলেন হারুন। মামলার রায় আবার তাঁর পক্ষে এল।তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আগমনে দৃশ্যপটও বদলে গেছে। তার পর চাকরিতে যোগদানে কোনো সমস্যা হয়নি।
হারুন আবার সারদায় গেলেন, পাচঁ বছরের বকেয়া বেতনের ৭ লাখ টাকা তুলে এনে বাবার হাতে দিলেন। হারুনের স্ত্রী এখনও যুক্তরাষ্ট্রেই থাকেন। বাংলাদেশে আসা যাওয়া করেন। তার দুই সন্তানের জন্ম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।বর্তমানে তিনি পুলিশের গোয়েন্দা টিম বা ডিবি পুলিশের প্রধান। বর্তমান তিনি এখন ডিবি প্রধান।
ভালো লাগলে বন্ধদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাবেন।
পুলিশের চাকরি ছাড়লেন আতিফ আহমেদ সজীব
বিসিএস ও পিএসসির প্রশ্নফাঁস গ্রেপ্তার ১৭ জন