আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবিভাগের শিক্ষক। বর্তমান পরিস্থিতিতে মাত্র ২০ দিনেই তিনি হয়ে উঠেছেন আশার বাতিঘর। তাকে বিশ্বাস করে আশ্বস্ত হয় বৈষম্য বিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের পক্ষে থাকা শিক্ষকরাও পাশে চান তাকে। কয়েকদিনের তুমুল আন্দোলনে প্রতিদিন তিনি মিডিয়ার সামনে সাহসী বক্তব্য উপস্থাপন করে গেছেন। বিভ্রান্তি এড়িয়ে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন সব পক্ষকে। সতর্ক করেছেন সবাইকে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আসিফ নজরুলের উপর ভরসা রেখেছেন সেনাবাহিনী প্রধানও। আসিফ নজরুল একাধারে শিক্ষক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কলামিস্ট ও উপন্যাসিক। মনের সাহস জুগিয়ে সোজা সাপ্টা কথা বলার জন্য দেশজুড়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। টকশোতে মানুষ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যেমন তার কথা শুনে। টকশোতে উপস্থিতি ও প্রভাবশালী দৈনিকে কলাম লিখায় ২০০৯-১০ সালের দিক তার ছাত্ররা কোটা প্রসঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন।
কোটা নিয়ে সংবিধান ও আইনের সব ধারা অনুচ্ছেদ সম্পূর্ণরূপে পড়াশোনা করলেন তিনি। সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা এবং কোটার আসন পূরণ না হলে পদ খালি রাখার বিটকেলে সব নিয়ম জুড়ে তার আক্ষেপ। ডঃ আসিস নজরুল ২০১০ সালে প্রথম আলোতে কোটা ৫৬ বনাম মেধা ৪৫ শিরোনাম একটি কলাম লিখেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতির উদ্ভব ও উপযোগিতা নিয়ে সংবিধানের আলোকে বিশ্লেষণ করে তিনি বলেছিলেন, কোন বিচার এই কোটাধারীদের সংখ্যা মোট নিয়োগের তৃতীয় অংশের বেশি হওয়া উচিত নয়।
লেখা ছাপা হলে সেই সময় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও পাঠক তাকে সমর্থন জানান। তিন বছর পর ২০১৩ সালে কোটা সংস্কার নিয়ে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলন শুরু হয়। পরবর্তীতে আবার আসিফ নজরুল লেখা শুরু করেন কোটা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিরোনাম ফের বিশ্লেষণ করেন তিনি। উচ্চ আদালতে সরকারি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করার পর আসিফ নজরুল আবার তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
২০২৪ সালের ১০ জুনের সেই কলামের শিরোনাম ছিল মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে জেদ বা আবেগ নয়, সুদ্রিয়ে চলা প্রয়োজন। বাস্তবতায় মেধাবির মোট সংখ্যা ১০ বা ১৫ শতাংশ মতো করলে কোটা ব্যবস্থাকে গ্রহণযোগ্য ও সুফলপ্রদ করা যাবে। সবশেষে তিনি লিখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়কে এক মাসের জন্য স্থগিত করার পর। জুলাই মাসের ১১ তারিখ আসিফ নজরুল লিখেন কোটা বিতর্কের সমাধান সরকারের হাতে। পরবর্তীতে অনেক সংগ্রাম করার পর সরকারের প্রথমে কোটা সংস্কারের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। তারপর সরকার নির্বিচারে সাধারণ শিক্ষার্থীর উপর আক্রমণ চালায়। এর পর কোটা আন্দোলনকারীরা ৯ দফা ঘোষণা দেন। তারপর সরকার দেশে কার্ফি জারি করে। এর বিপুল সংখ্যক জনগণ,শিক্ষার্থী , শিশু সাহ অনেকে মারা যায়। তারপর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শুরু হয় নতুন দিনের পথচলা।
আমাদের পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন।
ইউটিউবার কাফি ভাই এর সফলতার গল্প
Mr Beast মিস্টার বিস্ট এর পরিচয়
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল albe hossin