ইসলামের আলোকে সুদ-ঘুষের বিধান
ইসলামের সুদ ওঘুষ-কে স্পষ্টভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।এগুলো অবৈধ কোন, অবস্থাতেই সুদ ঘুষের লেনদেন বৈধ নয় আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন আর আল্লাহ ব্যবসা কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম।
অন্য আয়াতে এসেছে হে ঈমানদারগণ তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেওনা এবং আল্লাহকে ভয় করো, তাহলে তোমরা সফলকাম হতে পারবে।
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও সুদের যা বকে আছে তা ত্যাগ করো যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো।(সূরা আল বাকারা আয়াত ২৭৮)
ঘুষের আদান-প্রদানও হারাম বা অবৈধ। আল্লাহ তাআলা বলেন তোমরা পরস্পরের ধন সম্পদ অন্যায় ভাবে গ্রাস করো না এবং মানুষের ধন-সম্পত্তির প্রিয় ধ্বংস অন্যায় ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে জেনেশুনে বিচারকদের নিকট পেশ করো না। (সূরা আল বাকারা আয়াত ১৮৮)
সুদ গ্রহণ সর্বাবস্থায় হারাম তা গ্রহণ করা যেমন হারাম, তেমনি দেওয়া হারাম ,তেমনিভাবে সুদ দেওয়া ওষুধ নেওয়া উভয়টি সমান অপরাধ। তেমনি সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকাও অপরাধ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুদের কারবারে বা সুদি লেনদেনে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিকে অভিশাপ দিয়েছেন। বস্তুত সুদ ও ঘুষ খুবই জঘন্য অপরাধ। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে মানুষকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।
শুধু ঘুষের লেনদেন অত্যন্ত গর্হিত কাজ। নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ব্যক্তিগণ এরূপ কাজ কখনোই করতে পারেনা ।আমরাও জীবনের সর্বাবস্থায় সুদ ও ঘুষের লেনদেন থেকে বিরত থাকবো ইনশাল্লাহ।