শের-ই বাংলা কি ছিলেন?

 শের-ই- বাংলা হলেন বাংলাদেশের একজন অন্যতম জনপ্রিয় নেতা। তিনি ১৭৭৩ সালে বরিশালের চাখারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী একজন বিখ্যাত আইনজীবী ছিলেন। তিনি এন্ট্রাস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় যান। ২২ বছর বয়সে এক বিভাগে এম. এ .পরীক্ষায় পাশ করেন । দুবছর ধরে, তিনি সফলতার সাথে বিয়ের ডিগ্রি লাভ করেন এবং   বার এ (আইনজীবী পেশায়) যোগদান করেন।

৩৩ বছর বয়সে তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত হন। সরকারের সাথে মত পার্থক্যের কারণে তিনি ১৯১২ সালে এ পথ থেকে  ইস্তফা দেন। ১৯১৩ সালে তিনি বেঙ্গল কাউন্সিলের সদস্য হন।  ১৯১৫ সালে তিনি পটুয়াখালীর নির্বাচনে খাজা নাজিম উদ্দিন কে শোচনীয় ভাবে পরাজিত করেন। ১৯১৮ সালে তাকে ভারতীয় কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি করা হয়। একই বছর তাকে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি করা হয়।

তিনি ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ১৯২৪সালে একজন শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি বাংলায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। ১৯৩৫ থেকে ৩৬ সালে তিনি কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন। ১৯৩৭ সালে তিনি বাংলার প্রথম নির্বাচনী প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।১৯৪০ সালের ২৩ শে মার্চ, মুসলিম লীগের লাহোর কনফারেন্সে তিনি পাকিস্তানের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তিনি যুক্তফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন।১৯৫৮ সাল পর্যন্ত তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ছিলেন। তিনি ৮৯ বছর বয়সে মারা যান। বাংলাদেশের মানুষ তাকে কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করে।

http://ডাক্তার মমিনুল ইসলামের উদারতা বোধ বা দায়িত্ব ।

http://কত সালের নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে?

Leave a Comment