পুলিশের চাকরি থেকে সরে দাঁড়ালেন আতিফ আহমেদ সজিব। চলমান পরিস্থিতিতে এই পেশাটির উপর ক্ষোভ ও হতাশা থেকে চাকরির ছাড়লেন তিনি। সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্ট এর মাধ্যমে এ কথাটির নিশ্চিত করেন আতিফ আহমেদ সজীব। তিনি পোস্ট করার পরেই তা ভাইরাল হয়। সজিবের নানাও ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত। একাত্তরের পর থেকে সে ১৯৭২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৭ বছর তিনি বাংলাদেশ পুলিশে কাজ করেছেন।ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন পুলিশের চাকরি নিঃসন্দেহে একটি মহৎ পেশা কিন্তু আজ আতিফ আহমেদের কাছে কুলশিত।
২০১৬ সজীব বাংলাদেশ পুলিশে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এ পেশাতে ছিলেন দীর্ঘ আট বছর। পুলিশের কর্মরত অবস্থায় সবসময় তিনি সাধারণ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ন্যায় ও সত্যের সাথে থেকেছেন। তিনি বলেন কোন মানুষকে সহায়তা করতে সঠিক পেশা হলো পুলিশের চাকরি। যতদিন চাকরি করেছেন ততদিন এই আদর্শকে বুকে নিয়েই সজীব দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কাজ করেছেন একজন বীর সেনানীর হয়ে। নিজের জায়গা থেকে স্বচ্ছ ছিলেন সজীব। দেশের নিরীহ সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি হোক এমন কাজ তিনি করতেন না।
পুলিশের কাছ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সজীব বলেন এটি তার কল্পনারও বাইরে যে ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আওয়াজ তোলার অপরাধে তার পুলিশ ভাইয়েরাই নির্বিচারে মানুষের ওপর গুলি চালাবে। তিনি বলেন পুলিশ পরিচয় এর পূর্বে তিনি একজন পুত্র, তিনি একজন ছাত্র, তিনি একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক। সজীব তার নিজেদের ভাই বোনের ওপর এমন অত্যাচার সহ্য করতে পারবেন না বলে পুলিশের পথ থেকে স্তফা নেন।
সজীব বলেন একজন মুসলিম হিসেবে সবশেষে আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে। যতদিন চাকরি করেছি নিজের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি গরীব দুখী অসহায় অসাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এবং অন্য পুলিশ ভাইদেরকেও এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে চেষ্টা করেছি। সাহায্য করেছে শুধু সাধারণ মানুষের দোয়া পাওয়ার জন্য। তিনি বলেন পুলিশের চাকরি একটি মহৎ পেশা। পুলিশ সদস্যরা দেশের শান্তি রক্ষায় কাজ করে। সজীব তার দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়েছেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। উপরোক্ত কারণগুলোর জন্যই সজীব পুলিশের চাকরি থেকে সরে আসেন।