পেট সুস্থ রাখার উপায়

পেট সুস্থ রাখতে নিচের উপায় গুলো অবলম্বন করুন- 

হজমের সমস্যা, পেট খারাপ হওয়া বা পেট ব্যাথা করা – সবারই জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা। এই সমস্যায় যে কেউ পড়তে পারে। পেটের সমস্যায় অনেকে কষ্ট পান। আপনার ব্যবহারিক জিবনে কিছু পরিবর্তন এসে এসব সমস্যা সমাধান করা যায়। এমকি এভাবে পূর্ণ নিরাময় এবং পেটের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

. ধূমপান ছাড়তে হবে

ধূমপান করলে মানুষের খাদ্যনালীর নিচের অংশের বেশি দুর্বল হয়ে যায়। ফলে পাকস্থলীর এসিড উল্টো পথে খাদ্যনালী দিয়ে উপরের দিকে উঠে আসতে পারে। তাই ধূমপান করলে অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। 

গলায় টক বা ঝাঝাঁলো স্বাদের খাবার বা তরল উপরে উঠে আসা। বুকের  ব্যাথা। পেট ফাঁপা। বুক জ্বালাপোড়া করা। এসব কারণ ছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে পাকস্থলীর আলসার ও পরিপাকনালীর বিভিন্ন অংশে প্রদাহ বা জ্বালাপোড়া হতে পারে। আগে থেকেই এসব সমস্যা থাকলে অবস্থা আরো গুরুতর রূপ ধারণ করতে পারে। এমনকি ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পেট সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন জটিল রোগ থেকে বাঁচতে ধূমপান ছাড়তে হবে।

.মানসিক চাপ কমানো

মানসিক চাপ হজমের প্রতিক্রিয়ার উপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। মানসিক চাপের কারণে স্ট্রোক, উদ্যোগ ও দুশ্চিন্তার মত মানসিক অবস্থা হজমের প্রতিক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। যেমন কারো কারো খাবার পরিপাকের গতি কমে যায়।

অনেকের আবার খাবার পরিপাকের গতি বেড়ে যায়। ফলে পাতলা পায়খানা হয়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে খাওয়ার রুচি একেবারেই কমে যায়। পাকস্থালির আলসার ও  ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম এসব রোগ  মানসিক চাপের কারণে বেড়ে যেতে পারে।

মানসিক চাপে কিংবা দুশ্চিন্তায় থাকলে বা মন খারাপ থাকলে সে সময় খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খাবার টেবিলে বেশি কথা বললে পেটে অতিরিক্ত বাতাস ঢুকে পেট ফাঁপা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় খাবার টেবিলে কোন কারনে ঝগড়া হওয়ার ইচ্ছা জাগা থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব কারণে খাবার হজমের সমস্যা হতে পারে।

. নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করতে হবে

শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত সঠিক খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। নিজের সাধ্যের মধ্যে ফলমূল শাকসবজি ও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। খাদ্যের মাধ্যমে আমরা শারীরিক শক্তি অর্জন করতে পারি। ভাত আমাদের প্রধান খাবার। নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান হওয়া দরকার। ধীরে সুস্থ হয়ে সময় নিয়ে খাবার খেতে হবে। প্রতিবার খাবার মুখে দেওয়ার পরে হাত অথবা চামচ নামিয়ে প্লেটে রাখতে হবে। মুখের খাবার ভালোমতো চিবিয়ে খেতে হবে। পেট ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। সাধারণত একজন সুস্থ, পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করা উচিত।

অ্যাজমা বা হাপাঁনি রোগের কারণ

ফুসফুসের ক্যান্সার রোগ নির্ণয়, এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ।

Leave a Comment