ফিতরা কি?

ফিতরা বা সদকাতুল ফিতরা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আজকের প্রতিবেদন- ২০২৪ সালের ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ  ২৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রমজান মাসে মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলোর একটি হলো ফিতরা আদায় করা। ফিতরাকে সাদকাতুল ফিতরও বলা হয়। ইসলামী বিধান অনুযায়ী যদি কারো কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ অর্থাৎ সাড়ে ৭ ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা সমমূল্যের ব্যবসাপণ্য থাকে, তাহলে তাকে ফিতরা আদায় করতে হয়। পরিবারের প্রধান ব্যক্তির জন্য নিজের ও ছোট- বড় সবার  পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব।

তবে যারা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নন, তাদের জন্য ফিতরা আদায় করা সুন্নত ও নফল ইবাদত। যে শিশু সন্তান ঈদের দিন সুহবে সাদিক হওয়ার পর জন্ম গ্রহণ করেছে, তার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব নয়। কিন্তু যে শিশু সুহবে সাদিকের পূর্বের জন্মগ্রহণ করেছে তার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। ফিতরা বিভিন্নভাবে আদায় করা যায়। নগদ অর্থ ছাড়াও যেসব খাদ্যবস্ত স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সহজে সংরক্ষণযোগ্য, এবং বাজার মূল্য স্থিতিশীল থাকে; সেসব খাদ্যদ্রব্য দ্বারা ফিতরা তথা সদকাতুল আদায় করা যায়।

সাদকাতুল ফিতরের পরিমাণ হলো- আটা, গম বা গমের ছাতু হলে অর্ধ সা। সুতরাং আটা, গম বা গমের ছাতু বর্তমান প্রচতি মাপে এক কেজি ৬৩৫ গ্রামের সামান্য বেশি অথবা তার সমপরিমাণ। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কিছু বেশি দেওয়াই উত্তম। খেজুর, জব অথবা কিসমিস  দিলে গম ইত্যাদির দ্বিগুণ তথা তিন কেজি ২৭০ গ্রামের সামান্য বেশি বা তার সমপরিমাণ মূল্য দিতে হয়।

অনেক আলেমদের মতে, যে অঞ্চলে যেটি প্রধান খাদ্য, সেটি দ্বারা ফিতরা আদায় করাই উত্তম। আবার ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মতে, অধিক মূল্যের দ্রব্য দ্বারা ফিতরা আদায় করা উত্তম। অর্থাৎ যা দ্বারা আদায় করলে গরীবদের বেশি উপকার হয়।

হযরত ঈসা (আ.)- এর অবতরণ 

ড. জাকির নায়েকের পরিচয়

প্রসিদ্ধ আসমানী কিতাবসমূহ

Leave a Comment