বর্তমান শিক্ষকের যে ভাবে পদত্যাগ করাচ্ছে শিক্ষার্থীরা..

যে যেভাবে পারছে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ করাচ্ছে। এতে অনেক নিরীহ শিক্ষক আতঙ্কে দিন পার করছে। যেসব শিক্ষক কখনো কোন দল করেননি তারাও শিক্ষাথীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন।  মেরুদণ্ডহীন কিছু শিক্ষকদের জন্যই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ আগের শিক্ষকরা ছিলেন জাতি গড়ার সত্তিকারের কারিগর। আগে শিক্ষকদের সম্মান করে মাস্টার বাড়ি মাস্টার পাড়া ইত্যাদি নামে ডাকা হতো।

১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর থেকে পাঁচ বার ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। কখন নির্বাচনের মাধ্যমে, আবার কখনো রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্দোলনের মাধ্যমে। ক্ষমতার পালাবদলের প্রত্যেকটি ঘটনায় একটি দৃশ্য খুব সাধারণ। তা হল সরকার পরিবর্তনের পরপরই নতুন দখলদারদের আবির্ভাব ঘটে। তারা লুটপাটে অংশ নেয়। কিন্তু এবারের মত কখনোই শিক্ষকদের গায়ে হাত পড়েনি। সম্প্রতি স্কুল কলেজ পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে যা ঘটছে তা সব সীমা লংঘন করে ফেলেছে বলে বিশিষ্টজনরা বলছেন।

কোন কোন জায়গায় শিক্ষার্থীরা আবার কোথাও বহিরাগতারা এসে শিক্ষকদের শুধু জোর করে পদত্যাগী করেননি, জুতার মালা গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছেন। সেসব ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের সকল শিক্ষকদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন সংকটে  পড়েছে। কোথাও কোথাও শিক্ষকরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। একটা সময় শাসক শ্রেণীও শিক্ষকদের ভয়ে থাকতো। ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ডঃ শামসুজ্জোহাদের জাতি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে। ৫২ র ভাষা আন্দোলনে থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে শিক্ষকদের অবদান রয়েছে।

তাই আমাদের সবারই উচিত সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে আপনারা পদক্ষেপ নিবেন, এতে নিরীহ শিক্ষকরা অন্তত নিঃশ্বাস ফেলবে।

উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইদি আমিনের শেষ পরিণতি যাকে সৈরাচারি শাসন কর্তা বলা হতো..

ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী। বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসাবে কাজ করছেন..

Leave a Comment