ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হেসেনের  গল্প

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হেসেন সেনাবাহিনীতে তিনি কমিশন লাভ  করেছিলেন বাংলাদেশ জন্মের আগে ১৯৬৬ সালে। মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পর জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে অবসরপ্রাপ্ত সেই বিগ্রেডিয়ার জেনারেলকে দেয়া হয় অন্তবর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তার জন্ম ১৯৪৮ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি, বরিশাল জেলায়। ঢাকার তেজগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষাজীবন শুরু হয়। ১৯৬৩ সালে করাচের এক স্কুল থেকে এসএসসি এবং করাচির ইসলামিয়া বিজ্ঞান কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে এইচ এস সি পাশ করেন।

করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যায়নকালে যোগদেন সেনাবাহিনীতে। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। পৃথিবীর অন্যতম সামরিক কলেজ ইউনাইটেড স্টেটস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের গ্রাজুয়েট তিনি। স্নাতকোত্তর করেছেন পাকিস্তান ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের স্ট্র্যাটোজক স্টাডিজে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাকে প্রায় দুই বছর পাকিস্তানের বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন ১৯৭৩ সালে। ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ৪৬ ব্রিগেডে স্টাফ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯- ১৯৮১ সাল পর্যন্ত সেনাসদরে গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন ডিরেক্টরেটে  দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিগেডিয়ার হিসেবে দুই ইনফেনট্রি ও একটি আটিলারি ব্রিগেডের অধিনায়ক হন পরবর্তীতে। ২৯ বছরের মিলিটারি জীবন শেষে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থেকে অবসর নেন।

২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার। এদেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সাল থেকে যুক্ত আছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পলিসি এন্ড গর্ভন্যান্সের (এসআইপিজি) সিনিয়র ফেলো হিসেবে। প্রতিরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে তিনি নিয়মিত পত্রিকায় নিবন্ধ লেখেন।

বহু বছর ধরে প্রতি সপ্তাহে তার কলাম প্রকাশ  করে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলো। টিভি টকশোতেও নিরপেক্ষ, জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেন তিনি। এভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশ অবদান  রেখে চলেছেন তিনি।

শহীদ আবু  সাঈদের ভাস্কর্য নয় বুকে জায়গা দিন

আয়না ঘরের ভয়াবাহ রূপ

ধ্রুব রাঠির ইউটিউবার হওয়ার গল্প

Leave a Comment