Farewell to Mahmudullah Riyad
টি-টোয়েন্টি কে বিদায় জানালেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় রিয়াদের। সেই থেকে বাংলাদেশের হয়ে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৪৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১১ ১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২ হাজার ৩৯৫। গড় ২৩ ৪৮ ! ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৪৩ টি টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তার অধিনায়কাত্বে টাইগাররা খেলেছেন ২০২১ সালের আমিরাত বিশ্বকাপে।
অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদুল্লাহ জয় করেছেন ১৬ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এবং হেরেছেন ২৬ টিতে। ২০২১ সালের জুলাইয়ে টেস্ট থেকে অবসরে যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ধারণা করা হয়, অভিমান করেই তিনি টেস্টকে বিদায় বলেছিলেন। রিয়াদের ক্যারিয়ার টা উত্থান- পতনে ভরপুর। পরিশ্রম করেছেন, দলে এসেছেন নিরবে পারফর্ম করেছেন, অজানা কারণে বাদ পড়েছেন আবার ফিরে এসেছেন বীরের মতো।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মাহমুদুল্লাহ নির্দিষ্ট কোন ব্যাটিং পজিশনে থিত করতে পারেননি। দলের প্রয়োজনে কখনো টপ অর্ডার, কখনো মিডল অর্ডার বা কখনো ফিনিশিরের রোল পেলে করতে হয়েছে তাকে।
নিয়ে তার কখনো কোন আপত্তি ছিল না। রিয়াদের অবদানের দিকে তাকালে দেখা যায়, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সব জয়ে তার নাম কোন না কোন ভাবে জড়িত। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দেশের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করার রেকর্ডটা তার দখলে। ২০১৫ সালের ৯ মার্চ অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের পঞ্চম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক সেঞ্চুরি করেন রিয়াদ। ১৩৮ বলে ইতিহাসের পাতায় লাল-সবুজের নাম লিপিবদ্ধ করেন এবং বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বিশ্বমঞ্চে সেঞ্চুরির আক্ষেপ যুগিয়েছিলেন তিনি। সেঞ্চুরি করা লাঘবের পরপরই অনন্য এক রেকর্ডে নাম লেখান রিয়াদ।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিকরার নজির গড়েন এই ব্যাটার। মাহমুদুল্লাহর ওডিআই শতক চারটি। এই চারটি শতকে সবগুলো এসেছে আইসিসি ইভেন্টে। তিনটি বিশ্বকাপ আর অন্যটি ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। বিগ ইভেন্টে তার পারফরম্যান্স এবং অভিজ্ঞতা দুটোই কাজে লেগেছে। তিনি কৃতিত্বের সাথে বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে অবসর গ্রহণ করবেন।