বাংলার পরাধীনতার ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে মীর্জাফরের নাম। ঘৃণ্য মীর্জাফর আজও ঐতিহাসিক বেইমান বলে সারা বাংলায় পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগের জাফরাগঞ্জে মীরজাফরের প্রাসাদ অবস্থিত। সপরিবারে এখানে তিনি বিলাশবহুল ও আরম্বরপূর্ণ জীবনযাপন করতেন। তার প্রাসাদ জুড়ে ছিলো জৌলুস ও বিলাসিতা সবসময় অন্দর কামান ও সৈন্য সামন্ত দ্বারা সুরক্ষিত থাকতো।
কথিত হচ্ছে বাংলা বিহার, উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার পর মীর জাফরের নির্দেশে এই প্রাসাদের ভেতরেই নবাব সিরাজকে খুন করা হয়। এরপর থেকে মানুষ এই প্রাসাদকে নিমক হারাম দেউরি বলে থাকে। পাশ দিয়ে যাতায়াতের সময় অনেকে থুতু দেয়। বর্তমানে বাড়িটির ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান। পুরনো সেই প্রাসাদ এখন আর নেই রয়েছে ছোট দুটি ভবন, যেখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হতো না।
বাড়ির প্রধান ফটকে প্রবেশ নিষেধ লেখা সাইনবোর্ড টানানো আছে। অনেকে ইতিহাসবিদদের মতেই সিরাজকে এখানে বন্দি করে রাখা হলেও খুন করা হয়েছে হিরাজ হিলে যার একটি বিশাল অংশ পরে ভাগীরথী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য পুরো বাঙালি জাতি মীরজাফরকে রাজাকার বলে আখ্যা দিয়েছেন। যাকে বলা হয় ঘরের শত্রু বিভীষণ।
বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপ ইনল্যান্ড তাইপান !