মুরগির বিষ্ঠা থেকে বায়োগ্যাস  তৈরি

ফেলে দেওয়া মুরগির বিষ্ঠা থেকে প্রতিমাসে বিক্রি হচ্ছে ১২ লাখ টাকার বায়োগ্যাস। নির্দিষ্ট লাইনের মাধ্যমে সেই গ্যাস পৌঁছে যাচ্ছে মোট ৬৮ টি পরিবারের কাছে। অভিনব এই উদ্যোগ ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার মুরগির ব্যবসায়ী বিল্লাল মিয়া। মুরগির বিষ্ঠা থেকে বিল্লালের তৈরি বায়োগ্যাস দিয়ে বাড়িতে বাড়িতে চলছে রান্নাবান্নার কাজ। এছাড়া বিল্লালের এলাকায় অনেক দোকানপাট চলছে এই গ্যাসে। দিন রাত ২৪ ঘন্টা সরবরাহ হওয়ায় অন্যান্য গ্যাসের মত এই বায়োগ্যাস দিয়ে ভোগান্তি নেই বললেই চলে। এছাড়া বায়োগ্যাসটি পরিবেশবান্ধব ও কম দামি হওয়ায় এর চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে।

উদ্যোক্তা বিল্লাল মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীয়তপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়ায়। একটা সময় ছিলেন বিদেশে। থাকাকালীন সময়ে তার ইচ্ছে হয়েছিল দেশে গিয়ে নিজ এলাকায় একটি মুরগির ফার্ম করবেন। সেই ইচ্ছা অনুযায়ী দেশে ফেরার পর ২০১২ সালে তিনি নিজ গ্রামে দুই শতাংশ জমির উপর মুরগির ফার্ম করেন। ধীরে ধীরে তার সেই ফার্মের বিস্তৃতি ঘটে। বাড়তে থাকে মুরগির উৎপাদন। তবে অপ্রয়োজনীয় মুরগির বিষ্ঠা দিয়ে মোটামুটি বিপাকে পড়েন বিল্লাল মিয়া। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়তে এবং এলাকাবাসীর জন্য বিকল্প জ্বালানি হিসেবে খামারে থাকা মুরগির বিষ্ঠা দিয়ে তার পাশেই একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট নির্মাণ করেন তিনি।

তার উৎপাদিত গ্যাস দিয়ে বর্তমানে সেই এলাকায় ৭০০0 থেকে ৮০০ চুলায় দৈনন্দিন রান্না-বান্না চলে। স্থানীয়দের কাছে এই অভিনব বায়োগ্যাস প্লান্টটি আশীর্বাদ হয়ে ধরা দিয়েছে। আগে প্রতি মাসে তাদের দুই- গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হতো। যাতে খরচ হতো ৩ হাজার টাকা। এখন সেখানে মাত্র ১৫০০ টাকায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস পাচ্ছে এলাকাবাসী। এতে একদিকে যেমন টাকার সাশ্রয় হচ্ছে অন্যদিকে গ্রামীন এলাকা হলেও গ্যাস নিয়ে বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না।

৫০ বছর পর চাদেঁ যাচ্ছে নাসা..

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

Leave a Comment