রাজধানী ঢাকা সহ-সারা দেশে দুই মাসের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আগামী ৬০ দিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত অফিসাররা এই বিচারিক ক্ষমতার কাজে লাগাতে পারবেন। এর ফলে তারা ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অপরাধীকে সাজাও দিতে পারবেন। ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিষয়টিকে অনেকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। মাজার ভাঙ্গা থেকে শুরু করে যে কোন আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া। সামনে আসছে হিন্দুদের সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এদিকে গণঅভ্যুত্থানের মাসখানেক পার হয়ে গেলেও দেশের সব জায়গায় এখনো পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় হতে পারেনি। তাই এমন সময়ে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো ভালো উদ্যোগ- এমনটাই মনে করছেন সবাই।
আইনের ৬৪ ধারায় বলা আছে, কোন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে যদি অপরাধ সংগঠিত হয় তাহলে তিনি নিজেই গ্রেফতার করতে পারবেন। অথবা গ্রেফতারের আদেশ দিতে পারবেন। আর ৬৫ ধারা অনুযায়ী, যে ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতার বা গ্রেফতারের আদেশ দিতে পারবেন-তিনি একই সময়ে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করতে পারবেন। ২০২৪ সালে ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এর তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখনো সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। দেশের সংকটময় মুহূর্তে এভাবেই বারবার সেনাবাহিনী এগিয়ে এসেছে। ৫ আগস্ট এর পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কম থাকায় দেশে অরাজকতা ও ভাঙচুর এই চলেছে। পুলিশ বাহিনী এখনো জনগণের তোপের মুখে আছেন। তারা সম্পূর্ণভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না। সেজন্য সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সর্বদা জনগণের পাশে থাকবেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ভালবেসে থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাবেন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন।