আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত এর সফলতার গল্প- বিস্তারিত থাকছে প্রতিবেদনে-
এবার আম্পায়ার হিসেবে বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে আসলেন সরফুদ্দৌলা সৈকত ! বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র আম্পায়ার হিসেবে তিনি আইসিসির আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন। ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সাকিব বাহিনী কিছু করতে না পারলেও, আম্পায়ার হিসেবে সৈকত ছিলেন দুর্দান্ত। বিশ্ব মিডিয়ায় তাকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তখন অনেকে ধরে নিয়েছিল শরফুদ্দৌলা সৈকতের জন্য বড় কোনো সুখবর আছে। আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার চেয়ে বড় কোন সুখবর আর কি হতে পারে। আম্পার মানেই আমাদের চোখে বিরক্তিকর ও মোটাসোটা কোন শরীরের প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে। সৈকত এখানেই ব্যাতিক্রম।রোগা পাতলা শরীরের অধিকারী সৈকতের কালো সানগ্লাস ভেদ করে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে।
সৈকতের পুরো নাম শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। ঢাকায় জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা সৈকত ছাত্র হিসাবে ছিলেন মেধাবী। অনার্স এবং মাস্টার্স করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে। কিন্তু সাবাই যখন ক্রিকেটার হতে চায় সৈকত তখন আম্পায়ার কেন হতে চান।আম্পায়ারিংয়ে সৈকতের উত্থানের গল্পটা হলো। সৈকত এক সময় ক্রিকেটার ছিলেন। ৯০ এর দশকের শুরুর দিকে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে বাঁ হাতি স্পিনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
জাতীয় দলেও সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। 1994 সালে কেনিয়াতে অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফিতে জাতীয় দলের হয়ে তিনি সুযোগ পান। কিন্তু জাতীয় দলের পথ চলা দীর্ঘ হয়নি তার। তবে নিয়মিত ছিলেন ক্লাব ক্রিকেটে। ২০০০ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে খেলেছেন দশটি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ। দশ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৩১ টি। দীর্ঘদিন ধরে আইসিসির পুরস্কার ক্রিকেটারদের ইভেন্টগুলোতে বাংলাদেশি আম্পিয়ারদের উপস্থিতি ছিল না। তারপর সৈকত যুগের সূচনা হয়।
নারী ক্রিকেট ও বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট বাংলাদেশী অ্যাম্পিয়ারদের দায়িত্ব দেওয়া হলেও, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ বা t20 বিশ্বকাপে সৈকতের আগে দায়িত্ব পাননি অন্য কেউ বাংলাদেশে আম্পিয়ার।