শামীমের বাড়ি খাগড়াছড়ি। পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের, বিষয় নাট্যকলা। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরকালীন সময়েই সমাজের নানান অসঙ্গতির চিত্র ফুটে ওঠে তার সামনে। মনস্থির করেন প্রতিবাদ করবেন। কিন্তু সরাসরি তো প্রতিবাদ করা যায় না। শামীম বেছে নেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ডিজিটাল ভিজুয়াল প্ল্যাটফর্ম কে। ২০২০ সালের জুলাইয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে নানান বিষয়ে কন্টেন্ট বানানো শুরু করেন শামীম। শুরুতে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় সাময়িক ও সামাজিক নানা অসঙ্গতি নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন তিনি।
মজার ছলে ব্যঙ্গ করে কথা বলার মাঝেই শামিম ফুটিয়ে তোলেন অসংগতির চিত্র। গভীর বার্তা দেন প্রতিটি ভিডিওতে। নোয়াখালী, বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলের ভাষা সহ প্রায় দশটি আঞ্চলিক ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন শামীম। নাটক দেখে কিংবা বন্ধুদের থেকে শুনে শুনে এসব ভাষা আয়ত্ত করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অল্প সময়ে বেশ সাড়া ফেলেছেন তিনি। ফেসবুক থেকে ইউটিউব সবখানেই তার জনপ্রিয়তা আছে।
ফেসবুকে তার প্রতিটি ভিডিও লাখ লাখ মানুষ দেখছেন। হাতে পেয়েছেন ইউটিউবে সিলভার প্লে- বাটন। কনটেন্ট ক্রিয়েটর থেকে হয়ে উঠেছেন ছোট পর্দার অভিনেতা। গত দুই বছরে একাধিক নাটকে কাজ করেছেন শামীম। এগুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু নাটক হলো, হঠাৎ বৃষ্টি, কাটুস কুটুস, আরো বিভিন্ন ধরনের নাটক। শামিমের অভিনয়ে তরুণরা বরাবরই মুগ্ধ। তার কথা বলার ভঙ্গি পছন্দ করেন অনেক দর্শক। তাকে অনুসরণ করে অনেকে ফেসবুক ভিত্তিক ভিডিও বানাতে দেখা গেছে। এক কথায়, শামীম হয়ে উঠেছেন অনেকের অনুপ্রেরণা। কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও অভিনেতার আড়ালে অবশ্য চাপা পড়ে গেছে শামীমের মেধা।
দারুন মেধাবী এই তরুণ ২০১১ সালে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ভর্তি হয়েছিলেন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর নিজের আগ্রহের বিভাগে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে। সেখান থেকেই স্নাতক ও স্নাতকাত্তর শেষ করেন। তখন থেকেই ফেসবুক ও ইউটিউবের প্রতি তার আগ্রহের শুরু। ভিডিওতে অনর্গল কথা বলে যাওয়া শামীম বাস্তবে অন্তর্মুখী স্বভাবে। অনেকে ভিডিও কন্টেন্ট বানানোর পরামর্শ দিতেন। কিন্তু শামীম সেসব পাত্তা দিতেন না। একদিন নিজের আয়ের ব্যবসা নিয়ে একটা ভিডিও আপলোড করেন। পরে ফেসবুকে এসে দেখেন লাখ লাখ মানুষের কাছে তার সেই ভিডিও পৌঁছে গেছে।