সাংবাদিক হলেও বর্তমানে তিনি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। তাঁর কনটেন্ট বানানোর ধরন একেবারেই আলাদা। আর দশটা ইউটিউবারের মত যেমনত্যামন ভিডিও তৈরি করেন না তিনি। বলছিলাম সালাউদ্দীন সুমনের কথা। বাংলাদেশের ইতিহাস ভ্রমণ ও তথ্যবহুল কনটেন্ট ক্রিয়েটরের কথা বলতে গেলে তার নাম প্রথম সারিতেই থাকবে।
ইতিহাস, ঐতিহ্য আর প্রকৃতি নিয়ে সবসময় আগ্রহ ছিল সুমনের। ঘুরতে ভীষণ ভালোবাসেন. সময় পেলেই বেরিয় পড়েন অজানা -অদেখা নানা বিষয়ের সন্ধানে। অনুসন্ধানী চোখ নিয়ে হাজির হন মুঘল সম্রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র মুর্শিদাবাদের অলি-গলিতে এবং বাংলার শেষ স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত যাওয়ার মাঠ পলাশীর প্রান্তরে। আবার কখনো – বা তাঁর দেখা মেলে ২০০ বছরের ঐতিহ্যের সাক্ষী টাঙ্গাইলের বিখ্যাত তাঁতের শাড়ির হাটে।
এভাবেই কেবল বাংলা কনটেন্ট দিয়ে সুমন জয় করেছেন অসংখ্য মানুষের মন। তাঁর এমনও ভিডিও আছে, যেটি দেখা হয়েছে এক কোটিরও বেশি বার। ইউটিউবে তাঁর চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার প্রায় ১৯ লাখ। সুমনের জন্ম বগুড়ার আদমদীঘিতে। ছোট বেলায় ইচ্ছা ছিল লেখক হবেন।সেই সুবাদে ছাপা প্রত্রিকার প্রতি একটা আগ্রহ তৈরি হয় তাঁর। এই আগ্রহ থেকেই সাংবাদিকতায় পদার্পন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গনযোগাযোগ বিভাগ থেকে স্নাতক পাশের পর চাকরি পান একটি বেসরকারি টেলিভিশনের বুরো প্রধান হিসাবে।সেখানে চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন। নিয়মিত চাকরির পাশাপাশি কীভাবে আরেকটু বাড়তি রোজগার করা যায়.তা নিয়ে ভাবতেন সুমন। হাঠাতই একদিন ইউটিউবে ভিডিও দেখতে দেখতে তাঁর মাথায় এসেছিল, কনটেন্ট ক্রিয়েশনের কথা।
তার পর টানা দুই মাস ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিও দেখেছেন। মানুষ কোন ধরনের ভিডিও দেখতে চায়, কোন বিষয়ে আগ্রহ বেশি, সে সম্পর্কে জেনে তিনি বেছে নেন ব্লগিং কনন্টেন ক্রিয়েশনের পেশা। এভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন তার পেশা।
RanR : সিনেমাপ্রেমী এক ইউটিউবারের গল্প..