সাপ সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা

সাপ সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা জেনে নেওয়া যাক-

আজকাল বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা রকমের বিষাক্ত  সাপের দেখা মিলছে। ফসলের মাঠে,ঝোপে ঝাড়ে যারা কাজ করতে যাচ্ছে তাদের অনেকেরই মৃত্যুর খবর আসছে। সব সম্পর্কে আমাদের কিছু জ্ঞান থাকা জরুরী। সাপের ঘ্রাণ শক্তি এত দুর্বল যে ফুলের গন্ধ আসে না তাই কার্বনিক এসিডে সাপ পালায় না। এসব ধারণা এককালে প্রচলিত ছিল। এখন এগুলো ব্যর্থ তর্ক ছাড়া আর কিছুই না। বিন বাজালে সিনেমায় সাপ নাচে বাস্তবে সাত নাচে না।

সাপের কান নেই সাপের শোনার জন্য ঘন ঘন জিব বের করতে হয়। সাপ আপনাকে আক্রমণ করবে না আপনি যদি শব্দ করে হাঁটেন সে বুঝতে পারে। সাপের বুকের তলায় খোলসের রং আলাদা সেখানে বিশেষ স্নায়ুতন্ত্র থাকে। মাটির কম্পন বুঝতে পারে আপনি কত দূরে আছেন এবং আপনি সাইজে কত বড় সেটিও অনুমান করতে পেরে পালিয়ে যায়। বেলি ফুলে,  হাসনা হেনার গন্ধে কখনো সাপ আসে না কেউ কেউ জিবন দশায় হাসনাহেনা গন্ধরাজের তলায় সাপ দেখেছেন হয়তো।

মনে রাখবেন, সাপের ঘ্রাণ শক্তি খুবই দুর্বল। সে গন্ধ পায় না, সাপ সিনেমার সর্বরাজ বা নাগের মতো নয় যে সঙ্গী হারানোর প্রতিশোধ নিতে ছুটে আসবে। সাপ নিম্ন প্রজাতির প্রাণী। এদের মধ্যে রিমেজ বলে কিছুই নেই। ছোট সাপে বিষ নেই, কথাটা ভুল। সাপের বাচ্চা সাপ কেঁচো সমান হলেও সেই সাপের কামড়ে অনেককে ২৪ ঘন্টার মত জীবন মরনের যুদ্ধ করতে হয়েছে। সিনেমায় বলে সাপ গরুর দুধ খায়। গরুর দুধ খেতে গোয়াল ঘরে হানা দেয়। এসব ভুল কথা, সাপ খাবার হিসেবে পোকামাকড় ব্যাঙ খায়।

সাপ কাটলে ব্লেড দিয়ে কেটে দিলে বিষ বের হয়ে যায় যা কথাটা একদম ভুল। সুতরাং কাজটা ভুলেও করবেন না। ব্লেড দিয়ে কাটলে বিশ কে রক্তের সাথে নিজ হাতে মিশিয়ে দিলেন। চন্দ্রগোরা কামড় দিলে লোহিত রক্ত কণিকা ভেঙে যায়, রক্ত বমি, রক্ত পায়খানা হতে পারে। কামরের জায়গা রক্ত ঝরতে পারে,ফুলে যেতে পারে, লাল হতে পারে, ফোকাও  পরতে পারে। এমনকি কিছু সাপের কামড়ে মানুষ হার্ট অ্যাটাক করেও মারা যায়।

মাঝে মাঝে সামান্য বিষাক্ত সাপের কামড়ে মানুষ মারা যায়। কেননা ভয় পেয়ে হার্ট অ্যাটাক করে। চিকিৎসা এবং সতর্কতার অভাবে রোগীটি বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। বিষ নাড়া নেই বিষ ছড়াবে। সাপে কাটা জায়গা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্লেটে, চুষে ,কিংবা কেটে ,রক্ত বের করবেন না। এমন চিন্তা মাথায় আসলে একদম ভুলে যান। যেখানে কামড়াবে সেখানে নড়াচড়া একদম বন্ধ করুন। সবশেষে দ্রুত নিকটবর্তী অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

বুয়েটের ভিসি ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারের পরিচয়।

ড. জাকির নায়েকের পরিচয়

হযরত আলী  (রা.) এর পরিচয়

Leave a Comment