স্বর্ণ কোথায় পাওয়া যায়?

স্বর্ণ পাওয়া যায় মাটিতে। আসলে স্বর্ণ মাটিতে গুড়া বা দানা হিসেবে মিশে থাকে। মাটি থেকে তা আলাদা করতে হয়। কোন সময় হাতের চালনি ব্যবহার করে আবার কোন সময় যন্ত্রের ব্যবহার করে সেই স্বর্ণ মাটি থেকে আলাদা করা হয়। কিন্তু সব মাটিতে স্বর্ণ পাওয়া যায় না। কিছুদিন আগে ঠাকুরগাঁওয়ে একটি গুজব শুরু হয়েছিল, এবং মানুষজন স্বর্ণ খোজা শুরু করেছিল। হাজার হাজার মানুষ অনেক দূর থেকে এসে রাত দিনভর স্বর্ণ খুঁজতে শুরু করে। কিন্তু সেখানে কিছুই মেলেনি  কারণ সেটা ছিল গুজব।

বিশ্বের অল্প কিছু এলাকায় মাটিতে খুঁজলে সত্যিই পাওয়া যায় মূল্যবান ধাতু সোনা। স্বর্ণ খুঁজতে সুনির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। কেউ পেশা হিসেবে স্বর্ণ খোঁজার কাজ করেন আবার কেউ  অপেশাদার হিসেবে কাজ করে। পেশাহীনদের গোল্ড ডিগিং বা স্বর্ণ খোজার পদ্ধতিকে বলা হয় প্লাসার মাইনিং। এই পদ্ধতিতে পানি দিয়ে মাটি ধুয়ে অন্যান্য উপাদান থেকে আলাদা করা হয় স্বর্ণকে। বড় থালার মতো পাত্রে মাটি দিয়ে সেটি জালের ধরাতে ক্রমাগত ঝাঁকিয়ে ধুতে থাকলে সবার নিচে পড়ে থাকে পাথর ও স্বর্ণের গুড়া। স্বর্ণের গুড়া পানিতে ভেসে যায় না ফলে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা হয় এর সাথে মিশে থাকা মাটিকে।

পেশাদাররা যেসব পদ্ধতিতে স্বর্ণ উদ্ধার করে, তাকে বলা হয় হার্ডরকমাইনিং । বেশিরভাগ স্বর্ণ দ্বারা মাটি থেকে সেচে থাকেন। এ পদ্ধতিতে মাটি গর্ত করে তোলা হয় এবং সেখান থেকে নানা প্রক্রিয়ায় স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণ খোজা হয় সাধারণত পাহাড়ি এলাকায়। স্বর্ণ আছে কিনা তা পরীক্ষায় ড্রিল করার মাধ্যমে প্রায়  ৪০ ফিট গভীর এবং ১৬ থেকে ২২ ফুট চওড়া গর্ত করা হয়। গর্তগুলোকে একটি নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে বিস্ফোরণ করা হয়। বিস্ফোরনে পাহাড়ের ভেঙে যাওয়া মাটি ও আকারের স্বর্ণের টুকরা আছে কিনা, সেগুলো পরীক্ষা করতে একটি ট্রাকে বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয় একটি চূর্ণকারীর  কাছে। যন্ত্রটি সেই আকরিক গুলোকে ভেঙে ছোট ছোট খন্ড করে ফেলে। তারপর শক্ত পাথর থেকে স্বর্ণকে আলাদা করতে ব্যবহার করা হয় সোডিয়াম সায়ানাইড। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় লিসিং। 

এভাবে একটি স্বর্ণ সমৃদ্ধ কাদা তৈরি করা হয়। এরপর সেই কাদাটি পাঠানো হয় একটি পরিশোধক চুল্লিতে। সেই চুল্লিতে তীব্র তাপের সোনা ও রুপাকে আলাদা করা হয়। এভাবে একটি স্বর্ণ রুপার মিশ্রণ তৈরি হয়। এই মিশ্রণ কে বলে ডোর। এর ৯৮ শতাংশই খাঁটি স্বর্ণ। ৯৯. ৯৯ শতাংশ খাঁটি বা ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ পেতে এই মিশ্রণ কে আরেকটি বিশেষ শোধনাগারে পাঠানো হয়। এক পদ্ধতিতে স্বর্ণ পাওয়া যায়, সেটি হলো, আকরিক প্রক্রিয়া। এভাবেই মূলত স্বর্ণের খনি মাটি থেকে সংগ্রহ করা হয়।

আমাদের প্রতিবেদন ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন এবং আপনার মতামত কমেন্টে জানাবেন।

রাজশাহীর তানোর উপজেলার ইতিহাস

ভিপিএন ব্যবহার যে সব দেশে নিষিদ্ধ।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল albe hossin

Leave a Comment