হজে গিয়ে ইন্তেকাল করলে,মানা হয় কিছু নিয়ম নীতি। প্রত্যেক হজ্জযাত্রী হজে যাওয়ার আবেদনপত্র পূরণ ও স্বাক্ষর করেন। আবেদন প্রত্রে অঙ্গীকার করেন, সৌদি আরবে ইন্তেকাল করলে সেখানেই দাফন করা হবে। কোনো রকমের জোর ও আপত্তি থাকবে না, এমনকি পরিবার ও পরিজনের কোনো আপত্তি থাকলেও চলবে না। রাস্তায় দূর্ঘটনায় অথবা হাসপাতালে প্রাণ হারালে তাদের দেশে পাঠানো হয় না। প্রথমে মরাদেহ শনাক্ত করা হয়। মৃত ব্যক্তিকে আত্মীয়স্বজন বা কাছের কেউ শনাক্ত করেন। প্রাণ হারানো হাজিদের মৃত্যুর সনদ যথাসময়ে তাদের পরিবার বা তাদের এজেন্সির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ হজ মিশনের কার্যালয় থেকেও এ সনদ সংগ্রহ করা যায়। এরপর তা সত্যায়িত করার জন্য মোয়াল্লেম অফিস থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হয়। মক্কায় হজযাত্রী ইন্তেকাল করলে, মসজিদুল হারামে জানাজার নামাজ পড়ানো হয়। মদিনায় ইন্তেকাল করলে মসজিদের নববীতে জানাজা পড়ানো হয়। জেদ্দায় ইন্তেকাল করলে, জেদ্দায় জানাযা পড়া হয়। মক্কার মসজিদে হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববীতে প্রায় প্রতি ওয়াক্তে ফরজ নামাজের পর জানাযার নামাজ হয়ে থাকে। আবার কোনো ওয়াক্তে একাধিক জানাজাও হয়ে থাকে। জানাযা শেষে মক্কার শারায়-তে বা হজ্জযাত্রীদের জন্য কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরাদেহের গোসল করানো, কাফন পড়ানো, জানাজা পড়ানো ও দাফন করাসহ যাবতীয় কাজ নির্দিষ্ট বিভাগ করে থাকে। পবিত্র মক্কার রুশাইফায় রয়েছে ইন্তেকালকারী ব্যক্তির গোসল ও কাফন পড়ানোর ব্যবস্থা। হজ্জ পালনকারীদের মৃতদেহ বহন করার জন্য সরকারি গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। আরবদের মরাদেহ বহনকারীরা খাটিয়া কাঁধে নেওয়ার আগ্রহ অনেক। এটি তাদের একটি বিশেষ গুণ। এটাকে তারা সৌভাগ্য মনে করেন।
আইনজীবী মানজুর আল মতিন এর পরিচয়
ডিবি প্রধানের গোপন ভিডিও ও তার পরিচয়?
আমাদের চ্যানেল albe hossin