হযরত ঈসা (আ.)- এর অবতরণ 

 হযরত ঈসা (আ.) এর আকাশ থেকে অবতরণ। মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করার ক্ষমতা খর্ব হওয়ার পর দাজ্জাল মদিনার প্রবেশ দ্বার থেকে তার বিশাল বাহিনী নিয়ে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। কিন্তু দাজ্জাল সিরিয়া পৌঁছার পূর্বেই ইমাম মাহদী দামেস্কে পৌঁছে যাবেন। তিনি দামেস্কে পৌঁছে যুদ্ধের পূর্ণ প্রস্তুতি ও রণসজ্জায় সুসজ্জিত হয়ে থাকবেন। তিনি মুসলিম সৈন্যদের সামরিক শ্রেণীবিন্যাস করে যুদ্ধের রসদ ও সকল অস্ত্র সম্ভারে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলবেন।

যুদ্ধ ও রন ডংকার এ বিশাল প্রস্তুতির মাঝেই মুয়াজ্জিনের কন্ঠে আসরের আযানের ধ্বনি শোনা যাবে। আজানের পরপরই সকলে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকবেন। এ সময় হঠাৎ দেখা যাবে, দুজন ফেরেশতার কাঁধে ভর করে হযরত ঈসা আলাইহি ওসাল্লাম আকাশ থেকে দামেস্কের জামে মসজিদের পূর্ব মিনারায় অবতরণ করেছেন। মিনারার উপর থেকে  হযরত ঈসা (আ.) সিঁড়ে নিয়ে আসতে বলবেন। সিঁড়ি উপস্থিত করা হলে তিনি নিচে নেমে এসে হযরত ইমাম মাহদীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন।

ইমাম মাহদী অত্যান্ত বিনম্রভাবের তাকে সাদর সম্ভাষণ জানাবেন। সেই সাথে হযরত ঈসা (আ.) কে আহ্বান জানাবেন-হে আল্লাহর নবী ! আপনি নামাযে  ইমামতি করুন। এ সময় হয়রত ইসা (আ.) বলবেন- ইমামতি আপনাকেই করতে হবে। কেননা এই উম্মতের একজন অপরজনের ইমাম হতে পারে। মহান রাব্বুল আলামিন এ মর্যাদা শুধুমাত্র এই উম্মতকেই দান করেছেন। তখন ইমাম মাহদী নামাজে ইমামতি করবেন, আর হযরত ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম – ইমাম মাহাদীর মুক্তাদী হিসেবে নামাজ আদায় করবে।

নামাজ শেষে হযরত ইমাম মাহদী পুনরায় হযরত ঈসা (আ.)- এর উদ্দেশ্যে বলবেন- হে আল্লাহর নবী। এখন থেকে মুসলিমবাহিনীর নেতৃত্বে প্রদানের সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব আপনার উপর। আপনি ইচ্ছামত দায়িত্ব আঞ্জাম দিন।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম ও শৈশব 

হযরত আলী  (রা.) এর পরিচয়

নামাজের নিয়ত

Leave a Comment