হাসির কারণে পারভেজের মৃত্যু… কিভাবে ঘটলো এমন ঘটনা… in short
হাসির কারণে পারভেজের মৃত্যু….হাসির কারণে থেমে গেল তরতাজা পারভেজের প্রাণ। প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ এর চলাফেরা ছিল প্রাণবক্ত, মুখে লেগে থাকত হাসির ঝিলি। নিয়তির কি নির্মম পরিহাস। সেই হাসিখুশি থাকাটাই যেন তার জন্য কাল হয়েছে। তরতাজা এই যুবক হাসির কারণেই প্রাণ হারিয়ে। in short youtube channle
তুচ্ছ একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে সবকিছুর শুরু। পারভেজ নিজেও হয়তো কল্পনা করেনি তার সাথে এত বড় অন্যায় হতে যাচ্ছে। গণমাধ্যমের সূত্র ধরে পাওয়া প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায়. ২০২৫ সালের ১৯ এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি ক্যান্টিনের সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন পারভেজ। সেখানে ইউনিভার্সিটি অফ স্কলার্স- এর দুই নারী শিক্ষার্থীও দাঁড়িয়েছিলেন। এক পর্যায়ে ওই দুই নারী শিক্ষার্থীর মনে হয় জাহিদুল ও তার বন্ধুরা তাদের নিয়ে হাসাহাসি করছে। তারা এই বিষয়টি জানতে চাইলে জাহিদ সেটা অস্বীকার করেন। in short
পরে ওই দুই নারী শিক্ষার্থী প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষার্থীকে ফোন করে ডেকে আনে। ওই তিনজন এসে জাহিদুল এর কাছে হাসাহাসির কারণ জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এই হট্টগোল দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বোর্ডের সদস্যরা সবাইকে ক্যাম্পাসে ডেকে এনে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। সহপাঠীদের ভাষ্যমতে ফ্রক্টর অফিসে পারভেজ দাবি করেছিলেন, তিনি বন্ধুদের সঙ্গে নিজেদের আলাপের বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করেছিলেন। সেখানে কাউকেই উত্ত্যক্ত করেনি। in short
এক পর্যায়ে ওই দুই ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হলে, পারভেজ ক্ষমাও চান। এরপরও তার ঘটনাটি শেষ হয়নি। পরবর্তীতে পারভেজ বনানীর স্টার টাওয়ারের সামনে গেলে ওই দিন শিক্ষার্থী সহ প্রায় ১৫ জন এসে পারভেজের শরীরে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। মুমূর্ষ অবস্থায় পারভেজকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান তিনি আর বেঁচে নেই। এভাবেই থেমে যায় পারভেজের জীবন প্রদীপ। in short
হাসিখুশি যে ছেলেটা একদিন আগেও ছিল সবার মধ্য মনি, তার চলে যাওয়া যেন মেনে নিতে পারছে না কেউই। সহপাঠী ও বন্ধুরা পারভেজের শোকে কাতর। পরিবারের শোখটা তো ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। পারভেজই ছিল তাদের একমাত্র ছেলে। in short