আইনজীবী মানজুর আল মতিন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পাশে দাড়িয়ে ব্যপক প্রশংসায় ভাসছেন। এই আইনজীবী শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়নের বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত। ছাত্ররা যখন রাজপথে আন্দোলন করছিলেন তখন মানজুর আলী ধানমন্ডিতে। সেসময় তার দিকেও দুই রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। মানজুর আল মতিনের বর্ণনা অনুসারে তাদের কোনো বাহিনীর পোশাক ছিল না। তার হাতে ক্যামেরা ছিল এবং তার দিকে পিস্তল থেকে গুলি করা হয়। প্রমাণ না রাখতে গুলি ছোড়া হয় এই উদ্দেশ্যে মন্তব্য এই আইনজীবী।
মানজুর আলম মতিন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা করেছেন ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড মডেল কলেজে। তিনি ছিলেন বেশ মেধাবী ছাত্র। ২০০৪ সালে কলেজ পাশ করার পর প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আইন শাস্ত্রে প্রথম হয়ে তিনি পড়াশোনা শেষ করেন। বার কাউন্সিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৯ সালে ঢাকা জর্জ কোর্টে শুরু করেন উকালতি। ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ছাত্র জীবনের সামাজিক সংস্কৃতিক জীবনে যুক্ত ছিলেন তিনি। বিতর্ক টিএসসির আড্ডা এসবের সময় কেটে গেছে তার। ঢোল বাজে সঙ্গীতের জগতে নিজেকেযুক্ত করেন।
তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে যুক্ত হন। শুরু করেন সাংবাদিকতার ক্যারিয়ার। পত্রিকায় বিভিন্ন ধরনের চ্যানেল দেখে আবেদন করেন দেশের প্রথম চ্যানেল সিএসবি নিউজে। গ্র্যাজুয়েট না হলেও ডাক পেয়ে যান। সমস্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রেজেন্টার হিসেবে শুরু করেন ক্যারিয়ার। এই সময় প্রেজেন্টার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন প্রেজেন্টার হিসেবে। সিএসবি নিউজের পর যোগদানের এনটিভিতে। তারপর যুক্ত হন চ্যানেল ২৪ এ। বর্তমানে চ্যানেল ২৪ এ দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কর্মরত আছেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন।
দয়া করে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন ও আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে জানাবেন।