আব্রাহাম লিংকন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যান্টাকিতে ১৮০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার বাবার খামারে কাজ করতেন। তিনি এক বছরের কম সময় স্কুলে পড়াশোনা করেছেন কিন্তু নিজে নিজে লিখতে এবং পড়তে শিখেছিলেন। তিনি অত্যন্ত সফল আইনজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করার পূর্বে বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছেন। তিনি ক্রমে ক্রমে রাজনীতির দিকে ঝুকে পড়েন। ক্রীতদাস প্রথা নিয়ে দেশে সমস্যা চলছিল।সেতাঙ্গরা দক্ষিণ রাজ্য সমূহে বড় বড় ফার্মের মালিক ছিল। এ সমস্ত খামারে আফ্রিকা থেকে কৃষ্ণাঙ্গদের আনা হয় এবং তাদেরকে ক্রীতদার হিসেবে রাখা হতো।
এই কঠিন সময়ে ১৮৬০ সালে আব্রাহাম লিংকন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। তিনি ক্রীতদাস সমস্যা সমাধান করতে চেয়েছিল। তিনি নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তিনি যে কোন মূল্যে দেশের ঐক্য বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। পরিশেষে, উত্তর এবং দক্ষিণ রাজ্যসমূহের মধ্যে গৃহযুদ্ধ বেধে গেল। তিনি সাহসের সাথে যুদ্ধ করলেন এবং ঘোষণা করলেন একটি জাতি অর্ধেক স্বাধীন এবং অর্ধেক ক্রীতদাস হিসেবে লিখতে পারেনা। তিনি যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন এবং দেশের ঐক্য বজায় রেখেছিলেন।
লিংকন দ্বিতীয় সময়ের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি কারো বিরুদ্ধে ছিলেন না এবং চেয়েছিলেন যেন সবাই শান্তিতে বাস করে। গৃহযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট জাতির ক্ষমতাকে সরিয়ে তোলার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেন। ১৮৬২ সালে লিংকন ঘোষণা করেন যে তখন থেকে পরবর্তী সময় সকল ক্রীতদাস মুক্ত। এই ঘোষণাটাকে জনসাধারণের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলে। লিংকন ১৮৬৫ সালে আততায়ীর হাতে নিহত হন।