আলীনগরের সন্ধির শর্তসমূহ কি কি?

১৭৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডয়া কোম্পানি ও নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার মধ্যে আলীনগরের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। আলীনগরের সন্ধি ছিল নবাবের জন্য অপমানজনক, কেননা এ সন্ধির ফলে তার প্রতিপত্তি ও মর্যাদা হ্রাস পায়। উপরন্তু তিনি ইংরেজদের সাথে যে মিত্রতা স্থাপন করতে চেয়েছিলেন তাও এ সন্ধির মাধ্যমে হয়নি। এ সন্ধির মাধ্যমে-

১। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা দিল্লির সম্রাটের কাছ থেকে প্রাপ্ত ইংরেজদের  সব ধরনের বানিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা স্বীকার করে নেন।

২। নবাবের কলকাতা আক্রমণের সময় ইংরেজ কোম্পানি এবং কর্মচারীদের যেসব পন্যদ্রব্য ও আসবাবপত্র লুন্ঠিত হয়েছিল সেগুলো ফেরত দিতে এবং যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে নবাব স্বীকৃত হন।

৩। নবাব ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে কলকাতায় দুর্গ নির্মাণ করার অনুমতি দেন।

৪। নবাব কোম্পানিকে মুদ্রা প্রচলনের অনুমতি দেন।

আলীনগরের সন্ধির ফলে ইংরেজদের ঔদ্ধত্য এত বেড়ে যায় যে, তারা ইউরোপের সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধের সূত্র ধরে ফরাসিদের চন্দননগরের দুর্গ দখল করে নেয়। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ফরাসিদের সাহায্য নিয়ে ইংরেজদের বাগে আনতে চেয়েছিলেন। এর জন্য তিনি দাক্ষিণাত্য ফরাসি সেনাপতি বুসির সাথেও মিত্রতা করেছিলেন।    

রোহিলা খন্ড কিভাবে দখল করা হয়? 

যুদ্ধের ময়দানে আবু হুরায়রা রাযি.

Leave a Comment