আল্লাহ তাআলার বিশেষ কিছু নিয়ামত

আল্লাহ তাআলা অত্যান্ত দয়ালু। ইয়াজুজ- মাজুজের  ধ্বংসের সংবাদ পেয়ে হযরত ঈসা (আ:) প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য তুর পাহাড়ের দুর্গ থেকে কতিপয় লোককে বাহিরে প্রেরণ করেন। প্রকৃত অবস্থা অবগত হওয়ার পর সকলে বের হয়ে আসলে এক নতুন সমস্যা দেখা দিবে। ইয়াজুজ-মাজুজ সম্প্রদায়ের অগণিত, অসংখ্য লাশের দুর্গন্ধে জমিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে।

হযরত ঈসা (আ:) এর বিপদ থেকে পরিত্রাণ লাভের আশায় আবার সাথী-সঙ্গীদের নিয়ে  আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে দুআ করবেন। তখন আল্লাহ তাআলা বিরাট লম্বা লম্বা গর্দান ও দেহ বিশিষ্ট এক প্রকারের প্রাণী প্রেরণ করবেন। আরবী ভাষায় এই প্রাণীর নাম আনক’হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ঝাঁকে ঝাঁকে আগত এই প্রাণী ইয়াজুজ-মাজুজকে নিজেদের উদরস্থ করে ফেলবে । আর উচ্ছিষ্ট অবশিষ্টদের বিভিন্ন দ্বীপ, সাগর ও মহাসাগরে নিক্ষেপ করবে।

অন্যদিকে আল্লাহ তায়ালা ভূপৃষ্ঠকে ইয়াজুজ- মাজুজের অবশিষ্ট পচা রক্ত ও দুর্গন্ধময় আবর্জনা থেকে পবিত্র করার জন্য অত্যন্ত পূর্ণময় ও বরকতপূর্ণ বৃষ্টির ব্যবস্থা করবেন। এই বৃষ্টি একাধারে ৪০ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। বৃষ্টি এত ব্যাপক ও বিস্তৃত হবে, কাঁচা ঘর, পাকা ঘর, মাটির ঘর, বড় তাবু, ছোট তাবু, ছপরা সহ প্রতিটি ঘর- বাড়ি এর বর্ষণ দ্বারা সিক্ত হবে। আল্লাহর রহমতে এই বৃষ্টির ফলে খেত- খামার, ফল- ফলারি, ও শস্যাদি এতই সুজলা-সুফলা ও তরতাজ হবে এবং ফলন এত বিপুল পরিমাণ উৎপন্ন হবে যে, এক সের তরি-তরকারী এবং একটি গোত্রের জন্য পর্যাপ্ত হবে।

সকল মানুষ তখন সুখ ও শান্তির কাননে আয়েশী যিন্দেগী যাপন করতে থাকবে। জীবিতরা মৃতদের জন্য আক্ষেপ করতে থাকবে। মানবযমীনে বিশ্বাসী ও ঈমানদার ছাড়া তখন আরকেউ অবশিষ্ট থাকবে না। হিংসা-বিদ্বেষ বলতে কিছুই থাকবে না। সকলেই এবাদত বন্দেগি ও শোকর গুজারীতে লিপ্ত থাকবেন। সাপ মানুষকে দংশন করবে না। হিংস্র প্রাণী কাউকে আক্রমণ করবে না। ইয়াজুজ-মাজুজ সম্প্রদায়ের তরবারীর বাট, খাট এবং তীর ধনুক দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মানুষের রন্ধন কাজে ব্যবহৃত হবে। সাত বছর সময় পর্যন্ত মানুষ চরম উৎকর্ষতা এবং মহাসুখ- শান্তি এবং উন্নতি- অগ্রগতির চূড়ান্ত।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হেসেনের  গল্প

ইয়াজুজ- মাজুজের ধ্বংসলীলা

ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী।

Leave a Comment