ইসলাম গ্রহণের পরবর্তী নববীযুগ।
সপ্তম হিজরীরি ৭ই মুহাররম থেকে এগার হিজরীর রবিউল আওয়াল পর্যন্ত সময়টাই হযরত আবূ হুরায়রা রাযি এর যিন্দেগীর সারনির্যাস। এই সময়টার তিন চতুর্থাংশ তিনি নবীজির খেদমতে কাটিয়েছেন। নবীজির সাথে এমন ভাবে লেগেছিলেন যে সফরে , হযরেম একান্তে সুখে দুখে সর্বাবস্থায় নবীজির দরবারেই পড়ে থাকতেন। তার লক্ষ্য-বস্তু ছিল তিনটি প্রথমত-নবীজির চেহারা দেখে সৌন্দর্য দেখে চোখ জুড়ানো। দ্বিতীয়ত-নবীজি (সা) এর খেদমত করা। তৃতীয়ত- নববী দরবার থেকে ইলমের পিপাসা নিবারণ করা এবং ফয়েয লাভে ধন্য হওয়া।
অভাব অনটন ও দারিদ্রতায় জীবন কাটিয়ে দিলেন । আনুমানিক তিন বছরেরও অধিক সময় তিনি ইসলামের এই শ্রেষ্ঠ ও প্রথম দরসগাহের তালেবে ইলম ছিলেন।
তিনি নিজে বলেন পেটে কোনরকম কিছু পড়লেই আমি নবীজির দরবারে ছুটে যেতাম । আমার কোনো খাদেম ছিলো না। শরীর ঢাকার জন্য আমার চাদরও ছিলো না। কোনো সময় ক্ষুধার কারণে কোমর সোজা করতে পারতাম না । তখন পেটে পাথর বাধঁতাম । কুনুই উপর ভর করে সামান্য সোজা হতাম।
নবীজির খেদমত নবীজী (সা) খেদমত করার তার জীবনের অন্যতম একটি লক্ষ্য ছিলা । নববী ইলম লাভের সাথে সাথে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতেও তিনি ধণ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, যখন নবীজী ইস্তেঞ্জায় যেতেন আমি হুজুরকে পানি নিয়ে দিতাম। হুজুর এ পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করতেন।যার কারণে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন হিজর এর অগ্নীপুজকদের ইসলামের দাওয়াত দিয়ে হযরত আলা ইবনুল হাযরামীকে চিঠিহ পাঠালেন তখন তার সাথে হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. কেও পাঠালেন।
নববী যুগের পরের জীবন নববী যুগের পরেও হযরত আবূ হুরায়রা রাযি, এর জীবণ দীনী ইলম এবং জিহাদী কার্যক্রম ভরপুর ছিলো । হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি. এর খেলাফতকালে তিনি হাদীস শরীফ প্রচার- প্রসারের খেদমতে লিপ্ত ছিলেন। মুসনাদে আহমাদ ও তাবাকাতে ইবনে সা আদের কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায় যে খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি. এর সাথে হযরত আবূ হুরায়রা রাযি ও বাহরাইনে গেয়েছিলেন। সেখানে আলা ইবনুল হাযরামীর সাথে মুরতাদদের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশগ্রহণ করেছেণ।আমরা নবী রাসূলের জীবন ও তাদের কার্যক্রম অনুসরন করব ইনশাআল্লাহ।