কাফি ভাইয়ের সফলতার গল্প সম্পর্কে আজকের প্রতিবেদন। জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি ভাই। সমসাময়িক বিষয়ের ওপর কনটেন্ট বানান তিনি। হাসি রহস্য করে বাকা সোজা কথা বলে যায়, কাফি ভাই তা প্রতিনিয়ত দেখিয়ে চলেছেন। অধিকাংশ সময় তাঁর পাশে একটা কুকুর থাকে এবং মশার কয়েল থাকে, যার নতুনত্ম যোগ করে তাঁর কনটেন্ট। তিনি বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে ভিডিও তৈরি করে থাকেন। ভিডিও গুলো হাস্যরহস্যে ভরা থাকলেও দেশের সংকটময় পরিস্থিতিসহ নানা অসংহতি অনিয়মের প্রতিবাদ থাকেন তার ভিডিওতে। এসব ভিডিও পছন্দ করেন লাখ লাখ মানুষ। কাফির ইচ্ছে সমাজটাকে বদলে দেওয়ার। অন্যায়কে প্রাধান্য না দেওয়া। বর্তমান সমাজের তরূন দের নিয়ে বর্তমান সমাজের চিত্র পাল্টাতে ভূমিকা রাখতে চান। কাফি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি কলেজে ইংরেজিতে স্নাতক করছেন। ছাত্র হিসেবে তিনি বেশ মেধাবী। তার বাবা একজন শিক্ষক।
কাফি ভাইয়ের জন্ম পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটার আজিমপুর গ্রামে। পটুয়াখালীতেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। কুকুরের প্রতি প্রেম, কুকুরের প্রতি ভালোবাসা। তিনি কুকুরকে আদর যত্ন করেন। তার সব সময়ের সঙ্গী থাকে প্রিয় কুকুর থাকে।
কাফির ভিডিও কনটেন্ট বানানো শুরুটা ২০১৯ সালে। তার উত্থানের পেছনে সম্পূর্ণ অপরিচিত এক মেয়ের বিরাট অবদান আছে। শুরুর দিকে একটি মেয়ে তার ভিডিওগুলো পছন্দ করত এবং সে তার প্রোফাইলেও শেয়ার করত। সেই মেয়ের একেকটি শেয়ারের কারণে ভিউজ বের হয়ে যেত চার থেকে পাঁচ হাজারের মতো। এটা দেখে তার ভিডিও বানানোর আগ্রহ দ্বিগুণ হয়ে যায়। সে সময় ৪-৫ হাজার ভিউ মানে তার কাছে অনেক কিছু।
তবে দুর্ভাগ্যবশত সেই মেয়েটির কাফির সাথে কখনো সাক্ষাৎ হয়নি। শুধু নামটি মনে আছে। তার নাম স্বর্ণা।সে সময়ে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। পরে স্বর্ণার বিষয়ে তিনি আলাদা ভিডিও তৈরি করেছেন। একটা গোলাপ ফুল কিনে খালি গায়ে কাফি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যান। আই লাভ ইউ স্বণা বলে চিল্লা পাল্লা শুরু করেন।