কার্বাইড ল্যাম্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য-
পানি দিয়ে জ্বলবে এই বাতি। বিশুদ্ধ পানি দিয়ে জালাতে পারবেন এই বাতিটি। বাতিটি জ্বালাতে কোন তেল, গ্যাস, বা বিদ্যুতের প্রয়োজন পড়েনা। একে বলা হয় কার্বাইড ল্যম্প। এর জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত পাথরগুলো ক্যালসিয়াম কার্বাইডের টুকরো আর সাথে ব্যবহার করা হয় বিশুদ্ধ পানি।
কার্বাইড বাতি প্রথম আবিষ্কার হয় ১৮ শতকের মাঝামাঝিতে। তখন করা সময়য়ে মোটর গাড়িতে হেডলাইট, স্টিমার ছোট নৌকা ঘন জঙ্গলে শিকারের কাজে, সাইকেলের আলো হিসাবে ব্যবহার করা হতো। এই বাতিটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হতো মাটির গভীরে খনি খুজতে। পাথর আর পানিতে চলা এই বাতিটি কাজ করতো বেশ সহজ কিন্তু জটিল একটি একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। খুব সাধারণ ডিভাইস হলো কাবাইড বাতি। দুটি আলাদা প্রকোষ্ঠ রয়েছে এর ছোট্ট সিলিন্ডারের। এর একটিতে পানি ধারণ করে এবং অন্যটিতে ক্যালসিয়াম কার্বাইডের পাথরের টুকরা রাখা হয়।
পানি যখন ক্যালসিয়াম কার্বাইডের সংস্পর্শে আসে তখন অ্যাসিটিলিন গ্যাসের সৃষ্টি হয় এবং উজ্জ্বলভাবে আলো জ্বলতে থাকে। বাতিটির মাথার দিকে অবতল প্লেট এর চাকা ঘুরিয়ে দিলেই গ্যাস সৃষ্টি হয়ে বাতিটি জ্বলে ওঠে।
১৮৯২ সালে টমাস উইলসন চুন ও কোকের মিশ্রণে বৈদুতিক আর্ক ফার্নেস ক্যালসিয়াম কার্বাইড আবিষ্কার করেন। সে সময়ে ক্যালসিয়াম কার্বাইড তৈরি করা ছিল রসায়ন শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। তখন যুক্তরাষ্ট্রের বাসা বাড়িতে আলো ব্যবহারের চল শুরু হয় ব্যাপকভাবে। তখনকার সময়ে এক একটি কার্বাইড বাতির মূল্য ছিল ১ থেকে ২ ডলার, বর্তমান বাজারে যার মূল্য প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ডলারের সমান।
পরবর্তীতে ১৮৯৬ সালে যানবাহনে কার্বাইড বাতিল ব্যবহার করা শুরু হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে এই বাতির ব্যবহার।বেড়ে চলেছে এর মডেল ও কার্যকারিতা। কার্বাইড ল্যাম্পের অল্প সময়ে জনপ্রিয়তার কারণ হলো অতি উজ্জ্বল আলো। যা সকল মানুষকে মনোমুগ্ধকর করেছিল।