মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আজিজুল হাকিম তামিম। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় আজিজুল হাকিম তামিম বাবার কাছে ক্রিকেট খেলার একটা ব্যাট চেয়েছিলেন। ব্যাটটির দাম ছিলো আট হাজার টাকা। তখন বাবা মোহাম্মদ হোসাইনের কাছে অত টাকা ছিলো না। ছেলের কষ্ট দেখে অভাবের মধ্যেও বাকি করে ব্যাটটি কিনে দিয়েছিলেন তিনি। সেই ব্যাটটি হয়তো তামিমের কাছে এখন নেই, কিন্তু সেই ব্যাট পাওয়ার দিনেই সেদিন হয়তো তামিম স্বপ্ন বুনেছিলেন তিনি একদিন রাজ করবেন ক্রিকেটে। এশিয়া কাপের টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন তামিম। চার ইনিংসে ১১২ গড় ও ৮৪.৮৫ স্ট্রাইক রেটে ২২৪ রান করেন তিনি। একটি সেঞ্চুরি, দুটি হাফ সেঞ্চুরি ।এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে এনসিএল শুরুর দুই দিন আগে হাঠাই খুলনা দলে ডাক পড়ে তামিমের ।
এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট বা লিস্টে ম্যাচ খেলেননি। প্রফেশনাল ক্যারিয়ারের অভিষেকেও সেই ফর্মে টেনে নিয়ে এসেছেন সিলেটে। এনসিএলটি- টোয়েন্টি ২০২৪ -২৫ এর খুলনার হয়ে অভিষেক ম্যাচেই ৩১ বলে খেলেন ৫৩ রানের এক বিস্ফরক ইনিংস। রয়েছে তিনটি চার এবং চারটি ছক্কার মার যাকে বলে ভয়েডারহীন ক্রিকেট । প্রথম ম্যাচের মতো ফিফটি না পেলেও খুলনার হয়ে তিন নাম্বার পজিশনে ব্যাটিং এ ছিলেন বেশ ধারাবাহিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো অভিষেক না হলেও দেশের মানুষের কাছে একটি বড় নাম এবং পুরো বিশ্বে তার বর্তমান পরিচয় তিনি একজন এশিয়া কাপজয়ী অধিনায়ক। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি হয়তো বাবা-মায়ের কাছে আর নেই। বাবা-নিজেকে স্বার্থক এবং তার মা নিজেকে রত্নগর্ভা ভাবতেই পারেন কারণ এই আজিজুল হাকিম তামিম তাদের কাছে শুধু তাদের সন্তানই নয় তাদের একটি গর্ব।
বাংলাদেশে ক্রিকেটের আক্ষেপের নাম প্রতিভা। প্রতিভার মূল্যায়ন না হওয়ায় অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটারও হারিয়ে গেছেন তবে এই আজিজুল হাকিম তামিমরা না হারাক। সঠিক পরিচর্চা ও বিসিবির রাডারে রেখে ভবিষ্যতের তারকা না মহা তারকাতে রুপান্তর হবে এই জুনিয়র তামিম।