খারাপ বন্ধু থেকে দূরে থাকার জন্য ইসলামী কিছু বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। খারাপ বন্ধুরা আমাদের চরিত্র, আচার- -আচরণ এবং বিশ্বাসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ইসলাম মানুষকে সঠিক পথে চলার জন্য উৎসাহিত করে এবং খারাপ সঙ্গ ত্যাগের ওপর জোর দেয়।
১। আল্লাহর ভয় ও তাকওয়া অর্জন করা: প্রথমত, আল্লাহর ভয় এবং তাকওয়া (ধর্মীয় সচেতনতা) অর্জন করাই হলো খারাপ সঙ্গ ত্যাগের প্রধান উপায়। আল্লাহতালা কুরআনে বলেছেন হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো। (সুরা আত-তাওবাহ:১১৯) এখানে আল্লাহর সুস্পষ্ট ভাবে আমাদের সৎ মানুষের সঙ্গে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন যা আমাদেরকে খারাপ সঙ্গ ত্যাগে উৎসাহিত করবে। খারাপ বন্ধুর প্রভাব থেকে বাঁচতে হলে আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস ও তাকওয়া অর্জন করতে হবে।
২। সৎ এবং নেক বন্ধু নির্বাচন করা: সৎ এবং নেক বন্ধু নির্বাচন করা দরকার। খারাপ বন্ধুদের এড়ানোর জন্য প্রথমে ভালো বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়া জরুরি। ভালো বন্ধু হলেন সেই যারা ইসলামের নীতি অনুসরণ করে এবং আমাদের ঈমান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ভালো ও খারাপ বন্ধুর দৃষ্টান্ত হলো আতর বিক্রেতা ও লোহার কারিগরের মতো। আতর বিক্রেতার কাছ থেকে তুমি সুগন্ধি পাবে, আর লোহার কারিগরের পাশে বসলে পোশাকে আগুনের ঝাঁঝ লাগতে পারে। (বুখারী ও মুসলিম) এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, যে সংঘ আমরা বেছে নেই তা আমাদের জীবনের মান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সৎ ও নেক বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা করা উচিত।
৩। খারাপ সঙ্গের পরিণতি বিবেচনা করা: খারাপ বন্ধুদের প্রভাব থেকে বাঁচার আরেকটি উপায় হলো তাদের সঙ্গে ভয়াবহ পরিণীতির সম্পর্কে সচেতন থাকা। কুরআন ও হাদিসে খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা করার পরিণতি সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে, সেদিন জালিম ব্যক্তি নিজের হাত কামড়াতে থাকবে এবং বলবে হায়! আমি যদি অমুককে বন্ধু না বানাতাম। (সুরা আল- ফুরকান:২৮)। এই আয়াতটি থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় খারাপ বন্ধুর সঙ্গ মানুষকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে পারে। সেই দিন মানুষ অনুশোচনা করবে, কিন্তু তখন আর উপায় থাকবে না। তাই খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করা অপরিহার্য।