বাংলাদেশের চাঁদপুরে একদিন আগে ঈদ পালন করা হয়। বাংলাদেশে বহু মুসলমান সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে একদিন আগেই ঈদ উদযাপন করেন।
তারা একদিন আগে থেকে রোজাও রাখেন। একদিন আগে ঈদ পালনকারীরা কয়েক বছর আগেও সংখ্যায় কম ছিল। তবে ধীরে ধীরে তাদের সংখ্যা বাড়ছে।একদিন আগে ঈদ পালন করার পক্ষে তারা যুক্তিও দিচ্ছেন। চলুন জেনে নিই সৌদিআরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনকারীরা সংখ্যায় কত.আর তাদের যুক্তিগুলোই বা কী?একদিন আগে ঈদ উদযাপনের প্রনঙ্গ এলেই প্রথমেই থাকে চাঁদপুর জেলা।
আবর দেশ গুলোর সঙ্গে মিল রেখে ১৯২৮ সালে সাদরা দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইসহাক চৌধুরী একদিন আগে রোজা রাখাসহ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালনের নিয়ম চালু করেন । ৯৫ বছর আগে এই প্রথা চালু হলেও এখন চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মুসল্লি একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন। একদিন আগে ঈদ উদযাপনের জন্য চাঁদপুরের এই ৪০ টি গ্রাম একরকম বিখ্যাত হয়ে গেছে।
সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে ঈদ পালনের দিক থেকে চাঁদপুরের পরে আসে সাতক্ষীরা জেলা। আরব দেশগুলোর সাথে মিল রেখে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালী. আখড়াখোলা ভাদড়া তলুইগাছা. বাউকোলাসহ বিভিন্ন গ্রামের শত শত মুসল্লি ঈদ পালন করেন। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলার তালা ও কলারোয়া উপজেলাতেও একদিন আগে ঈদ করা প্রচুর মুসল্লি রয়েছে। খুলনা বিভাগের আরেক জেলা বাগেরহাট জেলা একদিন আগে ঈদ পালন করা হয়। বাগের হাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের চটের হাটসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ একদিন আগে ঈদ উদযাপন করে।
মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবের সঙ্গে মিলরেখে তার দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ঈদ উদযাপন করে আসছে। যারা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করে তারা এর পেছনে কিছু শক্ত যুক্তি দাড় করিয়েছেন ইমাম আবু হানিফার মতদেশে বিশ্বের যে কোন দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ উদযাপন করতে হবে। ১৩ শ বছর আছে চাঁদ দেখার খবর পেতে বেশ দেরি হতো । তাই তখনএকদিন পরে ঈদ পালন করতে হতো। এখন তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে চাঁদ ওঠার খবর মুহুর্তে জানা যাচ্ছে। তাই যে কোনো জায়গায় চাঁদ দেখা গেলেই ঈদ উদযাপন করা যাবে। তাই তারা সেটিই করে আসছে।
তবে দেশের অনেক প্রসিদ্ধ আমেমের মতে একদিন আগে ঈদ পালন শরিয়তাসম্পম নয়। কেননা সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের ভৌগেলিক মিল নেই। এছাড়া তাদের সঙ্গে চন্দ্রবর্ষ অথবা সৌরবর্ষ কোনোটির মিল নেই।তাই সবকিছু একদিন আগে ও পরের হিসাবে ধরতে হবে। এটি ভৌগেলিক বাস্তবতা। এমন যুক্তি-তর্কের মধ্যেও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় একদিন আগে ঈদ পালনের ততপরতা চোখে পড়ার মতো।বরিশালের পিরোজপুর জেলায় সৌদি আরবের সাথে মিলরেখে ১০ টি গ্রামের হাজারেরও বেশি পরিবার প্রতিবছর ঈদ পালন করে ।