চাবাগান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো আজকের এই প্রতিবেদনে-
অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য, চা চাষের নির্দিষ্ট একটা আইন রয়েছে। শুধু চা বানিয়েই বিক্রি করার জন্যই লাইসেন্স লাগে না বাকি সবগুলো কাজেই আছে শর্ত জড়িত।
বাংলাদেশ চা আইন ২০১৬ বলে আলাদা একটি আইন আছে। বাগান থেকে সরাসরি চা কেনা যায় না। চা কিনতে হয় নিলামে। আর সেই নিলাম দেশের মাত্র তিনটি জায়গায় হয়। এর মধ্যে কয়েক বছরে গড়ে উঠে দুটি প্রতিষ্ঠান।ভারত বিভক্তের পর বাংলাদেশের প্রথম চা নিলাম কেন্দ্রটি গড়ে ওঠে ১৯৪৯ সালে, চট্টগ্রামে।
এখনো বছরে সাড়ে আট কোটি কেজির বেশি চা পাওয়া যায়, তার বেশিরভাগই বিক্রি হয় চট্টগ্রামের নিলামে। প্রতি সোমবার চট্টগ্রামের বিখ্যাত নিলাম টি অনুষ্ঠিত হয়। তার জন্য আগের সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়। প্রথমে যাচাই করা হয় চায়ের গুণগত মান, যাচাই করে একটি ভিত্তি মূল্য ঠিক করতে হয়। যে হাউজ গুলোতে চা বিক্রি করা হয় সেগুলোতে নমুনা পাঠানো হয় মালিকের দ্বারা।
সেই নমুনার দ্বারা তৈরি হয় লিকার বা রং চা। বিশেষজ্ঞরা মুখে দিয়ে এর স্বাদ ও মান পরীক্ষা করে থাকেন। তারাই নির্ধারণ করেন ভিত্তিমুল্য। ক্রেতাদের কাছে কিছু নমুনা পাঠানো হয়। সেগুলো রাখা হয় নিলাম কেন্দ্রের প্রদর্শনী কেন্দ্রেও। নিলাম কেন্দ্রে বসেন ক্রেতারা। যে ব্যক্তি সর্বোচ্চ দাম বলবেন, তার কাছে বিক্রি হবে সেই প্রোডাক্ট। আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ দরদাতার টাকা বা চেক পরিশোধ করে গুদাম থেকে চা তুলে নেন। চা বিক্রির জন্য নির্ধারিত সময় দেওয়া থাকে, যে সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হয়, কেনা বেচার কাজ।
চা নিলামের জন্য রয়েছে সাতটি ব্রোকার প্রতিষ্ঠান। ২ শতাধিক ক্রেতা রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে বড় বড় কোম্পানি এবং তেমনি আছে পাইকারিতে কিনে নেওয়া ক্রেতা। নিলামে চা কেনার জন্য অনুমতি লাগে।