ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন এসএসসি পাস ইলেক্ট্রিশিয়ান, জুলহাস মোল্লা। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকা। জীবনে কোনদিন বিমানে না চড়া জুলহাস শখের বশে প্রায় চার বছর ধরে বিমান নিয়ে গবেষণা করেন। অবশেষে দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে বানিয়েছেন একটি আরসি বিমান। যমুনা নদীর চরে কোন সমস্যার ছাড়াই সেই বিমান তিন তিন বারে প্রায় তিন মিনিট সুন্দরভাবে আকাশে উড়েছে এবং ল্যান্ড করেছে। জুলহাসের বিমান উড়ানো দেখতে শত শত মানুষ সেদিন ভিড় করে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায়। “এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন সহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি। জুলহাসের এই বিমান নিয়ে উৎসাহ দিচ্ছেন সারাদেশের মানুষ।

তরুণ এই উদ্ভাবকের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নির্দেশে অসাধারণ প্রতিভা ও সৃজনশীলতার জন্য জুলহাস রহমানের হাতে ৫০,০০০ টাকার আর্থিক সহায়তা তুলে দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতা।
জুলহাসের এই বিমানটি মাটির ৫০ ফুট উপরে উড়তে পারে। এটি তৈরি করা হয়েছে লোহা ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে। ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সাত হর্স পাওয়ার পানির পাম্পের ইঞ্জিন। তৈরি করতে খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। এর আগে গত চার বছরে জুলহাস বিমান বানিয়ে উড়ানোর চেষ্টা করেছেন অনেকবার। কিন্তু সফল হতে পারছিলেন না। এই পুরো সময়টাতে তার মোট খরচ হয়েছে ৮ লাখ টাকা।
জুলহাস মোল্লা জানিয়েছেন, এই উড়োজাহাজ পরীক্ষামূলকভাবে প্রশিক্ষণের জন্য তৈরি করেছি। বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা হয়নি। তবে সরকারি অর্থায়ন ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা যেতে পারে।…. আল্ট্রা লাইট এয়ার ক্যাটাগরির এ ধরনের বিমান নিয়ন্ত্রণ করা সহজ, চালাতে তেমন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না, ওরাতেও খরচ কম হয়। প্রশিক্ষণ, বিনোদন বা ছোট দূরত্বের ভ্রমণের জন্য এ জাতীয় এয়ারক্রাফ্ট ব্যবহার করা হয়। তবে জুলহাস মোল্লা জানিয়েছেন আরও বিনিয়োগ করলে একে ছোট যাত্রীবাহী বিমান বা হেলিকপ্টার রূপান্তর করা সম্ভব।
এরিকসন স্কাইক্রেন হেলিকপ্টার যা মালামাল বহন করে থাকে