ড. জাকির নায়েকের পরিচয়। বিশ্ববিখ্যাত আলেমদের তালিকা করা হলে ড. জাকির নায়েকের নাম সবার প্রথমেই কেন। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিভিন্ন ধর্ম ও বস্তুগত বিষয়ের সঙ্গে ইসলামের তুলনামূলক ব্যাখ্যা এবং আলোচনার মাধ্যমে তিনি ব্যপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এছাড়াও বাইবেল বেদ-উপনিষদসহ অনেক ধর্মগ্রন্থের রেফারেস্ন মুখস্থবিদ্যা বিজ্ঞান ও ইতিহাসে উদ্বৃতি দিয়ে তার আলোচনা শ্রোতাদের আকৃষ্ট করে। ড জাকির নায়েক এর অন্যতম জনপ্রিয় থিম হলো -বিজ্ঞানের সূত্র দিয়ে কোরআনকে যাচাই করা। যে কারণে গোটা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তাঁর আলাদা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। জাকির নায়েক ১৯৬৫ সালের ১৮ অক্টোবর ভরতের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুম্বােইয়ের সেন্ট পিটার্স হািই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। স্কুলের পড়াশোনা শেষে কিশিনচাঁদ চেল্লারাম কলেজে ভর্তি হন।এর পর টোপিওয়ালা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে- এ ডাক্তারি পড়েন।
সবশেষে তিনি ইউনিভার্সিটি অব মুম্বাই থেকে ব্যাচেলর অব মেডিসিন সার্জারি বা এম বি বিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। জাকির নায়েকের পিতাও ছিলেন একজন চিকিতসক। পাশাপাশি তার বড় ভাইও চিকিৎসক ছিলেন। ১৯৯১ সাল থেকে জাকির নায়েক ইসলামের দায়ী বা ইসলাম -ধর্ম প্রচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেবছরি তিনি আিই আর এফ তথা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তার স্ত্রী ফরহাতও এই প্রতিষ্ঠানে নারীদের শাখায় কাজ করেন। ফারিক নায়েক, রুশদা নায়েক এবং জিকরা নায়েক নামে জাকির নায়েকের তিন সন্তান রয়েছে। বিতার্কিক হিসেবে তাঁর খ্যাতির কথা কে না জানে ।২০০০সালের পহেলা এপ্রিল আমেরিকার শিকাগো শহরে বিজ্ঞানের আলোকে কুরআন ও বাইবেল শীর্ষক ।
জাকির নায়েকের ভাষ্যমতে ইসলাম একটি যুক্তর ধর্ম এবং কুরআনে বিজ্ঞানবিষয়ক প্রায় ১হাজার আয়াত আছে । নিজ দেশ ভারতে অনেক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন । ২০০৬ সালে ২১ জানুয়ারি ভারতের ব্যাঙ্গালুক টিভিতে শ্রী শ্রী রবি শস্কারের সাথে প্রকাশ্যে যে বিতর্ক হয় এতে তিনি ইসলামের মহিমান্বিত দিকগুলো তুলে ধরেন। এছাড়া ২০০৭ সালে মুম্বাইয়ের সুমাইয় গ্রাউন্ডে ১০ দিনব্যপী শান্তী সম্মেলন করেন ড. জাকির নায়েক।
যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে খুশি থাকো
বুয়েটের ভিসি সত্য প্রসাদ মজুমদারের গল্প